সময় এখন বৈশাখের। প্রকৃতির মেজাজ পরিবর্তন হতে একটুও সময় নিচ্ছে না। এ যেন দুরন্ত স্বভাবের খামখেয়ালিপনা। তাই তো সকাল দেখে দুপুর অনুমান করা যাচ্ছে না। আবার দুপুর দেখে বিকাল কিংবা সন্ধ্যা অনুমান করা যাচ্ছে না। তাছাড়া প্রতিদিনের রুটিন অনুযায়ী আপনাকেও ছুটতে হচ্ছে দূরদূরান্তে। তাই বলে তো আর রোদে পোড়া বা বৃষ্টিতে ভেজা সম্ভব নয়। কিন্তু এমন খামখেয়ালি আবহাওয়াতে নিজেকে রক্ষা করবেন কেমন করে? এমন প্রশ্নে যখন আপনি চিন্তিত তখন নির্ভরযোগ্য সঙ্গী হতে পারে পছন্দসই একটি ছাতা।
বাজারে বেশ কয়েকটি ছাতার ব্র্যান্ড রয়েছে। দেশি ছাতার পাশাপাশি বিদেশি ছাতার চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। নানা রং এবং নকশার বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ছাতা পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্য থেকে পছন্দসই একটি ছাতার জন্য আপনার হাতব্যাগে একটি জায়গা বরাদ্দ করে দিন আজই। তবে হ্যাঁ, ছাতা কেনার সময় অবশ্যই বয়স ও ব্যক্তিত্বকে বিবেচনায় রাখুন। বয়স্ক হলে বড় কালো ছাতা ব্যবহার করুন। এটি অপেক্ষাকৃত বেশি টেকসই। আর তরুণ হলে ভাঁজযুক্ত ছাতা ব্যবহার করতে পারেন। যদিও আকৃতিতে ছোট এবং সহজে বহনযোগ্য নানা রঙের ছাতা থাকায় ভাঁজ করা যায়- এমন ছাতার জনপ্রিয়তা বেশি। এটি আপনার ব্যাগের মধ্যে অনায়াসে জায়গা করে নিতে পারে।
একটি সময় ছিল শুধু রোদ-বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই পেতে ছাতা হলেই হলো। কেমন তা দেখতে বা কী রং সেসব বিবেচ্য বিষয় ছিল না। কিন্তু বর্তমান সময়ে মানুষ অনেক বেশি ফ্যাশন সচেতন। ছাতা কেনার আগেও তারা হিসাব-নিকাশ করেন ছাতাটা কতটা ফ্যাশনেবল, মার্জিত রং কি-না, ব্যবহারে আধুনিকতার ছোঁয়া আছে কি না ইত্যাদি। যে কারণে দেশি ব্র্যান্ড ছাড়াও বেশকিছু বিদেশি ব্র্যান্ড আমাদের দেশি ছাতার বাজার দখল করে নিয়েছে। তার মধ্যে জাজবাটোর, গ্রিপ-২, হাস-জর্ডান, মিকি ব্যাগ, উইন্ডব্রেলা, শেড রেইন, সাউদান প্লাস, দি ওয়েদার কোং অন্যতম। দেশের অভিজাত শপিং মলগুলোতে দেখা মিলবে এদের। এ ছাড়া দেশি ব্র্যান্ডের ছাতা তো রয়েছেই।