মাদারীপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে আজ রবিবার দুপুরে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানকালে তারা হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিট পরিদর্শন, সিটিস্ক্যান মেশিন পর্যবেক্ষণ, বিগত অর্থ বছরের তেলের বিল-ভাউচার পর্যালোচনা, খাবারের ক্যান্টিন পরিদর্শন ও বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন। এ সময় রোগীদের কাছ থেকে সরকারি সেবা গ্রহণের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে চান দুদকের সহকারী পরিচালক আক্তরুজ্জামান ও উপসহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান অপু।
দুদকের সহকারী পরিচালক আক্তরুজ্জামান জানান, পরিদর্শনকালে দেখা যায় ২০২৩ সালে আইসিইউ ইউনিটে প্রয়োজনীয় সকল চিকিৎসা সরঞ্জাম ইন্সটল করা হয়েছে এবং ৫ জন ডাক্তার ও ১৪ জন সিনিয়র স্টাফ নার্সকে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। তারপরও আইসিইউ ইউনিটটি এখনো চালু হয়নি এবং অচল অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
সিটিস্ক্যান মেশিন পরিদর্শনে দেখা যায়, মেশিনটির বেড প্রায় এক মাস ধরে নষ্ট অবস্থায় আছে। এ বিষয়ে মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হলেও ঠিক কবে থেকে তা কার্যকর হবে—সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
তেল বরাদ্দ সংক্রান্ত বিষয়ে জানা যায়, বিগত অর্থ বছরে সদর হাসপাতালের তৎকালীন প্রধান সহকারী কাউছার মিয়া জেনারেটরের তেলের বরাদ্দ হিসেবে ২৬ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। তবে এই সংক্রান্ত কোনো বিল বা ভাউচার কর্তৃপক্ষ দাখিল করতে পারেনি। এতে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়, এ অর্থ পরস্পর যোগসাজশে আত্মসাৎ করা হয়ে থাকতে পারে।
এনফোর্সমেন্ট টিম রোগীদের খাবারের মান উন্নয়ন ও যথাযথ সেবা প্রদানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আরও আন্তরিক হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে।
অভিযানকালে সংগৃহীত তথ্য ও রেকর্ডপত্র পর্যালোচনার ভিত্তিতে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশনের কাছে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ