এবার রাজশাহীতে কোরবানির পশুর হাটে মাঝারি গরুর চাহিদা তুলনামূলক বেশি। হাটে ৮০ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দামের গরুর চাহিদা বেশি। তাই হাটে এ দামে ৩ মণ থেকে সাড়ে ৪ মণ ওজনের গরু বেশি বিক্রি হচ্ছে। গতকাল সিটি হাটে কোরবানির গরু কেনাবেচায় এ দাম লক্ষ্য করা গেছে। ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, হাটে ২৮ থেকে ৩২ হাজার টাকা মণ টার্গেটে কেনাবেচা হচ্ছে কোরবানির গরু। বড় গরুর দাম বেশি তবে ক্রেতা কম। বড় গরুর তুলনায় ছোট গরুর দাম বেশি। আবার ক্রেতাও বেশি। ছোট গরু অনেকেই ৬০-৭০ হাজার টাকার মধ্যে কিনছেন। বড় গরু পাঁচ থেকে সাত ভাগে কোরবানি দেওয়ার জন্য কিনছেন অনেকেই। সেগুলো ৮০ থেকে ১ লাখ ২০ হাজারের মধ্যে কেনাবেচা হচ্ছে।
সপ্তাহের রবি ও বুধবার সিটি হাট বসে। বানেশ্বর এলাকার আবদুর রহমানের বাড়িতে ৫টা বড় গরু আছে। গরুগুলো দীর্ঘদিন ধরে লালন-পালন করছেন তিনি। হাটে একটা গরু নিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, হাটে বড় গরুর দাম বলতে চাচ্ছে না ক্রেতারা। হাটে খুব কম ক্রেতা। হাটে দুর্গাপুর উপজেলার তরিকুল ইসলাম এনেছেন দুটি বলদা গরু। তার হিসাবে, একটি গরুর মাংস হবে ৮ মণ ও অপরটির সাড়ে ৯ মণ। সেই হিসাবে ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা দাম চাচ্ছেন তিনি। কিন্তু ক্রেতা ২ লাখ ২৫ হাজারের ওপরে দাম বলেনি। মাজদার আলী বলেন, হাটে বড় গরুর দাম বলার পার্টি (ক্রেতা) নেই। হাটের থেকে বাড়িতেই বেশি দাম বলেছে। কিন্তু হাটে আসার পর ২০ হাজার টাকা কমে গেছে। বানেশ্বর এলাকার সুমন ইসলাম বলেন, ছোট গরুর দাম বলছে ক্রেতারা। কিন্তু বড় গরু নিয়ে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেও তেমন কেউ দাম বলে না। মানুষ দাম শুনে চলে যাচ্ছে। এদিকে, ঈদুল আজহা উদ্যাপন উপলক্ষে র্যাব-৫ রাজশাহী মহানগরী এবং দায়িত্বাধীন এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। গতকাল সকালে রাজশাহী সিটি পশুর হাট পরিদর্শনে এসে এ কথা জানান র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ।
তিনি বলেন, রাজশাহী মহানগরীতে কোরবানি উপলক্ষে সব হাটেই বিশেষ নজরদারি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে যাতে করে জনসাধারণ নির্বিঘ্নে কোরবানি পশু কেনাবেচা করতে পারে। পশু কেনাবেচায় জাল টাকা আদান-প্রদান বন্ধে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধিসহ টাকা শনাক্তকারী মেশিন স্থাপন ও ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি নগরীর বড় হাটগুলোতে বর্তমান গরম আবহাওয়া ও জনসাধারণের কথা মাথায় রেখে র্যাব-৫ প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।