বরিশাল নগরীতে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শুরু হয়েছে পুকুর জলাশয় ভরাট। এজন্য নদীর তীর থেকে ড্রেজিংয়ের বালু আনার জন্য স্থাপন করা হচ্ছে পাইপ। যা নগরীর বিভিন্ন ব্যস্ততম সড়কের ওপর দিয়ে নেওয়া হয়েছে। এতে সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন চালক ও যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়ছেন। বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। জানা যায়, বালু আনার জন্য একটি পাইপ স্থাপন করা হয়েছে নগরীর ব্যস্ততম সরোড-শায়েস্তাবাদ সড়কের উত্তর আমানতগঞ্জ এলাকায়। তিন রাস্তার প্রবেশমুখে এই পাইপ স্থাপন করায় যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ব্যক্তি মালিকানাধীন নিচু জমি ভরাটের জন্য নদী থেকে উত্তোলন করা বালু পাইপের মাধ্যমে ফেলার অনুমতি দেয় বরিশাল সিটি। এ জন্য ১৮ জন ড্রেজার মালিকের কাছ ২০ লাখ টাকা করে জামানত হিসেবে রেখে লাইসেন্স দিয়েছে তারা। তবে পুকুর, ডোবা-নালা কোনো অবস্থাতেই ভরাট করা যাবে না। কিন্তু এ নিষেধাজ্ঞা কেউ মানে না। গোপনে পুকুর ও ডোবাও ভরাট করা হচ্ছে।
নগরীর উত্তর আমানতগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা জানান, কীর্তনখোলা নদীর চরআবদানী এলাকা থেকে পাইপ নিয়ে নগরীর ভাটিখানা এলাকায় নেওয়া হয়েছে। প্রভাবশালী নেতারা ওই পাইপ ব্যস্ত রাস্তার ওপর দিয়ে নিয়েছে। যেখান থেকে ওই পাইপ নেওয়া হয়েছে সেখানে তিন রাস্তার মোড়। কোনো ধরনের সতর্ক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করছে না।
এ বিষয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের স্টেট শাখার কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস বলেন, আগে রাস্তার নিচ দিয়ে নেওয়ার কথা ছিল। এতে রাস্তা কাটতে হয়। স্থানীয় জনগণ বাধা দেওয়ার পর ডাইভারসনের মাধ্যমে রাস্তার ওপর দিয়ে পাইপ নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এতে যেন যানবাহন চলাচলে অসুবিধা না হয়, সে বিষয়টি খেয়াল রাখার নির্দেশনা রয়েছে।