বিপ্লব ভট্টাচার্য; বাংলাদেশ ফুটবলের সাড়াজাগানো গোলরক্ষক। জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ১৬ বছর। অধিনায়কও ছিলেন। ফুটবল ক্যারিয়ারে বিপ্লব আবাহনী, মোহামেডান, ব্রাদার্স ইউনিয়ন, শেখ রাসেল, ফরাশগঞ্জে খেলেছেন। ফুটবল ক্যারিয়ার শেষে এখন কোচিংকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন দেশসেরা এ গোলরক্ষক। কোচিং ক্যারিয়ারকে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার মূল টার্গেট, প্রিয় বাংলাদেশকে এশিয়ার মানে দেখা। কাজটি কঠিন। তারপরও স্বপ্ন দেখেন। গতকাল ইংল্যান্ড থেকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের তারকা ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরী বাংলাদেশে এসেছেন। তিনি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পক্ষে খেলবেন। শুধু হামজা নন, ইতালির বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আরেক ফুটবলার ফাহমেদুল ইসলামও যোগ দিয়েছেন। আগে থেকে জাতীয় দলে খেলছেন বাংলাদেশে বিদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার জামাল ভূঁইয়া, তারেক কাজি, কাজেম শাহ। ‘হাইপ্রোফাইল’ ফুটবলার হামজা যোগ দেওয়াতে দেশের ফুটবলে উন্মাদনার সৃষ্টি হয়েছে। বিপ্লব বিশ্বাস করেন হামজাদের মতো হাইপ্রোফাইল ফুটবলার এলে দেশের ফুটবলের ধারাই বদলে যাবে। তিনি বলেন, ‘হামজা, ফাহমেদুলদের মতো ফুটবলার খেলতে এলে দেশের ফুটবলে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। খেলার ধারাই বদলে যাবে। পরবর্তী জেনারেশন ফুটবলের প্রতি আসক্ত হবে।’ হামজার আগমনে দেশের ফুটবলে একটা অন্য ধরনের উন্মাদনার সৃষ্টি হয়েছে।
এশিয়া কাপ ফুটবলের বাছাইপর্বে বাংলাদেশ খেলবে ভারত, সিঙ্গাপুর, হংকংয়ের বিপক্ষে। দেশের ফুটবলে পরিবর্তন আনতে বাফুফে দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের দলে ভেড়াতে চেষ্টা করছে। এর আগে জামাল ভূঁইয়া, তারিক কাজি, কাজেম শাহ খেলেছেন। ইতালির সিরি ‘ডি’ লিগের ক্লাব ওলবিয়া কালসিও’র লেফট ব্যাক এবং উইং ব্যাক পজিশনে খেলেন ফাহমেদুর ইসলাম। সৌদি আরবে অনুশীলনে জামালদের সঙ্গে যোগ দেন তিনি। বিপ্লব বিশ্বাস করেন ফাহমেদুল ও হামজা যোগ দেওয়ায় দেশের ফুটবলারদের জন্য ভালো খেলাটা এখন চ্যালেঞ্জিং হয়েছে। তিনি বলেন, ‘হামজা অনেক বড় ফুটবলার। ফাহমেদুলও নিঃসন্দেহে ভালো ফুটবলার। এরা দলে যোগ দেওয়াতে অন্য ফুটবলারদের জন্য অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং হয়ে গেল। কারণ তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে খেলতে হবে। ফলাফল নিজেদের পক্ষে আনতে হলে তাদের বল পাস দিতে হবে। তাদের পাসগুলো বুঝতে হবে। কারণ তারা দ্রুতগতির ফুটবলার। হামজা ও ফাহমেদুল শুধু খেললেই চলবে না। তাদের খেলাতে হবে। গতিসম্পন্ন দুই খেলোয়াড়ের সঙ্গে স্থানীয়রা কতটা মানিয়ে নিতে পারবেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।’