জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রকে একহাত নিয়েছে ইরান। তারা অভিযোগ করেছে, ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে ওয়াশিংটন ইরানের ওপর চালানো হামলায় সরাসরি সহায়তা দিয়েছে এবং এ জন্য তাদের পুরোপুরি দায় নিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
শুক্রবার ভোরে ইসরায়েল একের পর এক ইরানে হামলা চালায়। পাল্টা জবাবে ইরান ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়ে। জাতিসংঘে ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা ‘জাতীয় স্বার্থে ও আত্মরক্ষার্থে’ এই অভিযান চালিয়েছে।
তবে ইরানের জাতিসংঘ প্রতিনিধি আমির সাঈদ ইরাভানি পাল্টা বক্তব্যে বলেন, ‘ইসরায়েল কৌশলে কূটনীতি হত্যা করছে, আলোচনার পথ নষ্ট করছে এবং পুরো অঞ্চলকে ভয়াবহ যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আর এসব কর্মকাণ্ডে যুক্তরাষ্ট্র তাদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে চলেছে।’
তিনি বলেন, যারা এই দখলদার রাষ্ট্রকে সমর্থন দিচ্ছে—বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র—তারা এই অপরাধের অংশীদার। তাদেরকেও এর পরিণতি ভোগ করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, তিনি আগেই ইরানকে পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধে ৬০ দিনের সময়সীমা দিয়েছিলেন, যা বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। তবে নির্ধারিত রোববার ওমানে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ দফা ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু আলোচনা এখন অনিশ্চিত।
নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তা ম্যাককয় পিট বলেন, আমরা চাই কূটনৈতিকভাবে বিষয়টি সমাধান হোক, যাতে ইরান কখনো পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে না পারে।
তিনি জানান, ইসরায়েলের প্রথম হামলার আগে যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টি সম্পর্কে জানত, তবে তারা সরাসরি কোনো সামরিক অভিযানে অংশ নেয়নি।
এদিকে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক সংস্থা (আইএইএ) জানায়, ইরানের নাতানজে অবস্থিত একটি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে। এছাড়া ফরদু ও ইসফাহানেও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে বলে ইরান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুদ্ধের শঙ্কা আরও বেড়ে গেছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল