পারিবারিক কলহের জেরে পটুয়াখালীতে স্ত্রীকে খুন করে চার বছরের সন্তান নিয়ে থানায় হাজির হয়েছেন স্বামী। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে স্বামী সরোয়ার হোসেন বাউফল থানায় হাজির হয়ে খুনের দায় স্বীকার করেন। নিহত সালমা আক্তার (৩২) পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার ধাওয়া গ্রামের রুস্তম আলীর মেয়ে। সালমা বাউফলের নুরাইনপুর নেছারিয়া ডিগ্রি মাদরাসার বাংলা বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। ঘটনার আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এর জেরে সরোয়ার ঘরে থাকা ধারালো দা দিয়ে সালমার ঘাড়ে কোপ দেন। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। হত্যার পর ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে শিশু সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যান সরোয়ার। পরে গভীর রাতে থানায় হাজির হয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন তিনি।
বাউফল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম জানান, সরোয়ার হোসেন থানায় এসে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করলে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করি। শিশুকে পরিবারের দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।
বাউফল থানার ওসি মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সরোয়ার জানিয়েছে স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িত সন্দেহে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা করা হয়েছে।