পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পানি নিরাপত্তা, টেকসই ব্যবহার ও সবার প্রাপ্য পানি প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে ওআইসির (ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা) সদস্য দেশগুলোর যৌথভাবে কাজ করা জরুরি।
আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) সৌদি আরবের জেদ্দায় আয়োজিত পানিবিষয়ক দায়িত্বে নিযুক্ত মন্ত্রীদের ইসলামিক সম্মেলনের পঞ্চম অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, পানি শুধু প্রাকৃতিক সম্পদ নয়, এটি জীবন, উন্নয়ন ও শান্তির ভিত্তি। বৈশ্বিক পানি-সংকট মোকাবিলায় ওআইসি দেশগুলোর ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ ও পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমেই টেকসই পানি ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা সম্ভব।
উপদেষ্টা আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততার বৃদ্ধি, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর হ্রাস এবং মিঠাপানির দূষণ দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ওআইসি দেশগুলোর মধ্যে যৌথ গবেষণা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং টেকসই পানি ব্যবস্থাপনায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
সম্মেলনের সাইডলাইনে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সৌদি আরবের পরিবেশ, পানি ও কৃষিমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার আবদুল রহমান বিন আবদুল মোহসেন আলফাদলির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি বাংলাদেশের উপকূলীয় লবণাক্ত এলাকায় নিরাপদ পানির জন্য রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং এবং জলবায়ু সহনশীল পানি সরবরাহব্যবস্থায় সৌদির সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার ওআইসির সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারত্ব গড়ে তুলতে আগ্রহী, যাতে পানি শাসন, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও তথ্য বিনিময়ের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করা যায়। মুসলিম দেশগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতাই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ড. মো. মুস্তাফিজুর রহমান; সদস্য (সচিব), কৃষি, পানিসম্পদ ও গ্রামীণ প্রতিষ্ঠান বিভাগ, পরিকল্পনা কমিশন এবং ড. মো. খায়রুল ইসলাম; সুপারিনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
ওআইসি আয়োজিত এই সম্মেলনে সদস্য দেশগুলোর মন্ত্রী ও উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন এবং পানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, সীমান্তবর্তী পানি ব্যবস্থাপনা ও টেকসই পানি ব্যবস্থাপনায় নতুন উদ্ভাবনী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন।
বিডি প্রতিদিন/কেএইচটি