১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা আবারও আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছেন। তারা দাবি করেছেন, এনটিআরসি কর্তৃপক্ষ দ্রুত সময়ের মধ্যে শূন্য পদ তৈরি করে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সুপারিশ বঞ্চিত ১৬,২১৩ জন প্রার্থীর নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে পুনরায় তারা রাজপথে আন্দোলন করবে।
গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশ বঞ্চিতরা এই দাবি তুলে ধরেন। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন খোরশেদ আলম ও নিপা আক্তার।
প্রধান দাবিগুলো ছিল:
- ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শূন্য পদ যুক্ত করে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সুপারিশ বঞ্চিত ১৬,২১৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া।
- নীতিমালা পরিবর্তনের পূর্বে সুপারিশ বঞ্চিত প্রার্থীদের নিয়োগের লক্ষ্যে বিষয়ভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রাতিষ্ঠানিক বাধা দূর করা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী শূন্য পদ যুক্ত করে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ সবাইকে নিয়োগ নিশ্চিত করা।
খোরশেদ আলম বলেন, “বিপুল সংখ্যক শূন্য পদ থাকা সত্ত্বেও ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৬,২১৩ জন প্রার্থী এখনও নিয়োগ বঞ্চিত। আমরা রাষ্ট্র কর্তৃক যাচাইকৃত যোগ্য শিক্ষক। সর্বোচ্চ মেধা ও যোগ্যতার প্রমাণ সত্ত্বেও নিয়োগ না পাওয়া আমাদের জন্য প্রচণ্ড হতাশা এবং মানসিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
নিপা আক্তার বলেন, “দেশের হাজারো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তীব্র শিক্ষক সংকট রয়েছে। প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার পদ শূন্য। ফলে শিক্ষা ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে এসএসসি ও এইচএসসি রেজাল্ট খারাপ হওয়ার পেছনে যোগ্য শিক্ষক ঘাটতি রয়েছে। শিক্ষক সমাজ জাতির ভবিষ্যৎ গঠনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। তাই আমরা বিনয়ভরে শিক্ষা ও শিক্ষক নিয়োগ সংশ্লিষ্ট সকল ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দ্রুত নিয়োগ প্রদানের অনুরোধ জানাচ্ছি।”
বিডি প্রতিদিন/আশিক