হাড় সুস্থ রাখার কথা উঠলেই আমাদের মাথায় আসে ক্যালসিয়ামের কথা। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, কেবল ক্যালসিয়ামই যথেষ্ট নয়—হাড়ের গঠন ও স্বাস্থ্য ধরে রাখতে প্রয়োজন আরও কিছু জরুরি পুষ্টি উপাদানের। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ডি, ম্যাগনেশিয়াম, প্রোটিন এবং ভিটামিন কে-২।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাড়ের ঘনত্ব, নমনীয়তা ও শক্তি বজায় রাখতে এই উপাদানগুলো একে অপরের সঙ্গে সমন্বয়ে কাজ করে। ক্যালসিয়াম যেখানে হাড়ের মূল গঠন উপাদান, সেখানে ভিটামিন ডি সাহায্য করে শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণে।
সূর্যালোক: ভিটামিন ডি-র সবচেয়ে সহজ উৎস
ভিটামিন ডি-৩ মূলত সূর্যের আলো থেকে পাওয়া যায়, যা শরীরের অন্ত্রে ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করে। এছাড়াও, ডিম, দুধ ও বিভিন্ন দুগ্ধজাত খাবারে ভিটামিন ডি-৩ পাওয়া যায়।
প্রোটিন ও দুধ: হাড়ের গঠনে সহায়ক
দুধ খাওয়ার পরামর্শ শুধু ক্যালসিয়ামের কারণে নয়, এতে থাকা উচ্চমাত্রার প্রোটিনও হাড়ের গঠন ও শক্তিতে ভূমিকা রাখে। দুধের প্রায় ৫০ শতাংশই প্রোটিন, যা হাড়ের কোষ গঠনে সহায়তা করে।
ম্যাগনেশিয়াম: চিকিৎসকদের মতে, ম্যাগনেশিয়াম হাড়ের খনিজ ভারসাম্য বজায় রাখে এবং ক্যালসিয়ামের কার্যকারিতা বাড়ায়। বয়স্কদের অস্টিয়োপোরোসিস প্রতিরোধে ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।
সবুজ শাকসবজি, বাদাম, কলা ও হোলগ্রেন জাতীয় খাবারে প্রাকৃতিকভাবে ম্যাগনেশিয়াম পাওয়া যায়। তবে প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সাপ্লিমেন্টও নেওয়া যেতে পারে।
ভিটামিন কে-২: হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধিতে সহায়ক
ভিটামিন কে-২ রক্তে ক্যালসিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং তা হাড়ে সঞ্চিত করতে সাহায্য করে, যাতে ক্যালসিয়াম ভুল জায়গায় না জমে। এই উপাদানটি হাড়ের শক্তি বাড়াতে কার্যকর।
হাড়ের যত্নে শুধুমাত্র ক্যালসিয়াম নির্ভরতা যথেষ্ট নয়। বরং হাড়ের সামগ্রিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হলে একটি সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন, যাতে ক্যালসিয়াম ছাড়াও থাকে ভিটামিন ডি-৩, ভিটামিন কে-২, ম্যাগনেশিয়াম ও প্রোটিনের পর্যাপ্ত পরিমাণ।
বিডি প্রতিদিন/মুসা