পার্টি, আড্ডা বা পারিবারিক অনুষ্ঠানে অনেক সময় আমরা এমন কিছু পরিস্থিতিতে পড়ি, যেগুলো বেশ অস্বস্তিকর। তবে একটু কৌশলী হলে খুব সহজেই এগুলো সামলানো যায়।
হার্ভার্ড-প্রশিক্ষিত ভদ্রতা বিশেষজ্ঞ সারা জেইন হো, যিনি নেটফ্লিক্সের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘Mind Your Manners’-এর উপস্থাপক এবং একই নামে একটি বইয়ের লেখক, বলেন— ‘ভদ্রতা মানে শুধু নিয়ম মানা নয়, বরং অন্যদের স্বস্তিতে রাখা।’
চলুন জেনে নেই এমন ৩টি সাধারণ অথচ বিব্রতকর সামাজিক পরিস্থিতি ও সেগুলো কীভাবে সামলাতে পারেন:
১. কারও নাম ভুলে যাওয়া
অনেকবার দেখা হলেও অনেক সময় কারও নাম মনে পড়ে না। কিন্তু সেটা সরাসরি বললে অপ্রস্তুত হতে পারেন আপনি এবং অপর পক্ষও।
সমাধান:
বলুন, আমি নতুন ফোন কিনেছি, পুরনো সব কন্টাক্ট হারিয়ে গেছে। আবার নম্বরটা দিন তো।
চাইলে বলতে পারেন, আপনার ইনস্টাগ্রাম/ফেসবুক আইডি দিন, সেভ করি।
আরেকটি সহজ উপায় হলো, পাশে থাকা কাউকে পরিচয় করিয়ে দিন। এতে অপর পক্ষ নিজেই নিজের নাম বলে দেবে।
২. অস্বস্তিকর আলাপ থেকে বের হওয়া
কখনো কখনো কোনো আলাপ দীর্ঘ হয় বা এমন কথাবার্তা চলে, যা থেকে আপনি সরে আসতে চান।
সমাধান:
সঙ্গে থাকা কাউকে আলাপচারিতায় জড়িয়ে দিন।
তারপর বলুন, ‘আমি এক গ্লাস পানীয় নিয়ে আসি’ বা ‘একটু ওয়াশরুমে যাচ্ছি।’
এইভাবে আপনি সহজেই আলাপ থেকে সরে যেতে পারবেন, আর অন্যরাও বুঝতে পারবে না।
৩. আত্মীয়ের রূঢ় বা বাজে মন্তব্যে কী করবেন
আত্মীয়স্বজনের মধ্যে কথাবার্তা অনেক সময় খোলামেলা হয়। তবে কেউ যদি সীমা ছাড়িয়ে যায়, তখন সেটা সামলানোটা কঠিন হতে পারে।
সমাধান:
ভাইবোন বা কাজিন হলে হালকা ঠাট্টায় ছেড়ে দিন।
বড় চাচা-খালুদের ক্ষেত্রে শুধু হেসে পাশ কাটিয়ে যান বা ধীরে ধীরে সরে যান।
যদি শ্বশুরবাড়ির কেউ হন, তাহলে বিষয়টি আপনার জীবনসঙ্গীকে বলুন। তিনি পরবর্তীতে বুঝিয়ে বলবেন।
ঐ মুহূর্তে মুখে হাসি রাখুন, বিরোধ না তৈরি করে পরে শান্তভাবে বিষয়টি সামলানো ভালো।
জীবনে অনেক সময় পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে না, কিন্তু আমাদের প্রতিক্রিয়াই পারে পরিবেশকে সুন্দর রাখতে। তাই হেসে কথা বলুন, নম্র থাকুন— অনেক কঠিন পরিস্থিতিও সহজ হয়ে যাবে।
সারা জেইন হো-র ভাষায়, ‘ভদ্রতা মানে হলো অন্যকে স্বস্তিতে রাখা— নিজের সম্মান রক্ষা করে, অন্যকে সম্মান দেখিয়ে।’
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল