চকচকে মুখরোচক খাবার বা জাঙ্ক ফুড, যেমন : বার্গার বা পিৎজা— ছোটদের ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। স্কুল টিফিনে যদি রুটি বা ফল দেন, প্রথম দিন তো খাবে, কিন্তু পরদিনই মুখ ঘুরিয়ে নেবে। কারণ? বাইরের খাবার শুধু খেতে ভালোই লাগে না, দেখতে আকর্ষণীয় বলেই তা বেশি টানে।
এই প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে, এবং সহজলভ্য অনলাইন বা দোকানের খাবারগুলো সেই অভ্যাস আরও মজবুত করছে। কিন্তু স্বাস্থ্যের দিক থেকে এই অভ্যাস বেশ ক্ষতিকর। হঠাৎ করেই এই অভ্যাস থেকে তাদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়, আবার জোর করে প্রতিদিন একই ঘরোয়া খাবার খাওয়ানোও কঠিন।
সমাধান কী?
১. খাবারের উপস্থাপন বদলান:
শিশুরা মূলত খাবারের চেহারা দেখে আগ্রহ দেখায়। তাই দোকানের বার্গারের মতো বাড়ির স্যান্ডউইচ বা রুটিও যদি রঙিন শাকসবজি দিয়ে আকর্ষণীয়ভাবে সাজিয়ে দেওয়া যায়, তাহলে শিশুরা তাতেও আগ্রহী হবে। রুটির ওপর গাজর, টমেটো, শসা দিয়ে মুখের আকারে সাজিয়ে দিন, পাশে রাখুন ছোট ছোট ফল।
শিশুকে ছোটবেলা থেকেই রান্নায় যুক্ত করুন— গ্যাসের সামনে দাঁড়াতে হবে না। ফল কাটা, স্যালাড সাজানো, সবজি ধোয়ার মতো সহজ কাজ দিয়ে শুরু করুন। এতে খাবার তৈরির প্রতি আগ্রহ বাড়বে, খেতেও আগ্রহী হবে।
৩. বাজারে নিয়ে যান:
শিশুকে সঙ্গে করে বাজারে নিয়ে যান। শিখিয়ে দিন কোন সবজি কীভাবে খেতে হয়, কোনটা কতটা পুষ্টিকর। সবজি চেনানো ও বেছে নেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
৪. ঘরোয়া খাবারকেই আকর্ষণীয় করুন:
সময় না থাকায় অনেক সময়েই বড়রা জাঙ্ক ফুড কিনে দেন, কিন্তু এই অভ্যাসই বদলাতে হবে। বাজারের প্যাকেট জুসের বদলে দিন টাটকা ফলের রস, তার ওপর ড্রাই ফ্রুটস ছড়িয়ে দিন। আইসক্রিম চাইলে পাতলা দইয়ের ওপর ফল দিয়ে সাজিয়ে দিন। পিৎজার বদলে ওট্সের পরোটার ওপর সেদ্ধ চিকেন, রঙিন সবজি সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
এই ছোট ছোট পরিবর্তনই শিশুদের স্বাস্থ্যের দিকে আগ্রহী করে তুলতে পারে। খাবার যেন শুধু পুষ্টিকর নয়, চেহারাতেও আকর্ষণীয় হয়— সেটাই হোক লক্ষ্য।
বিডি প্রতিদিন/মুসা