দেশে সাইবার বুলিংয়ের শিকারদের ৮০ শতাংশ নারী ও কিশোরী। ভুয়া অশ্লীল ভিডিও, মিথ্যা প্রোফাইল ও অশালীন বার্তায় তারা নিয়মিত হয়রানির শিকার হয়ে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি ১০ নারী ভুক্তভোগীর একজন হতাশাজনিত গুরুতর স্নায়ুবৈকল্যে আক্রান্ত হন। গত শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. আবদুল্লাহ ফারুক কনফারেন্স হলে সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সামাজিক সংগঠন ‘দ্য বাংলাদেশ রেজোনেয়ার’ (টিবিআর)। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডা. মো. রাহানুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আশরাফ জালাল খান, সাংবাদিক সানজিদা ইসলাম জুঁই এবং ভারতের পলিটি অ্যাকশন ল্যাবের প্রতিষ্ঠাতা নিবেদিতা বিশ্বাস। এ ছাড়াও স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের প্রায় ১০০ শিক্ষার্থী সেমিনারে অংশ নেন।
বক্তারা বলেন, সম্প্রতি নারী রাজনৈতিক কর্মীরা সামাজিকমাধ্যমে অপপ্রচার, হুমকি ও মানহানিকর প্রচারণার শিকার হচ্ছেন; যা গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণে এক অন্ধকার ছায়া ফেলছে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতিতেও ছাত্র সংসদ নির্বাচনের সময় ধর্ষণের হুমকি ও চরিত্র হননের মতো ঘটনা ঘটেছে, যা রাজনৈতিক অঙ্গনে নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণে বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে।
সেমিনারে জানানো হয়, ২০২২ সালে রিপোর্টকৃত অনলাইন অপরাধের ৫২ শতাংশই ছিল সাইবার বুলিং সম্পর্কিত। যার উল্লেখযোগ্য অংশ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বক্তারা বলেন, সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮সহ বিভিন্ন নীতি গ্রহণ করলেও বাস্তব প্রয়োগে ঘাটতি রয়ে গেছে। সেমিনারের মূল লক্ষ্য ছিল- অনলাইন হয়রানির ভয়াবহতা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানো, মানসিক পুনরুদ্ধার ও ক্ষমতায়নের পথ প্রদর্শন এবং তরুণ সমাজের রাজনৈতিক অংশগ্রহণে উৎসাহ জোগানো।