জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আরও পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান সংস্থাটির সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ।
জানা যায়, বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার কামরুজ্জামান, ঢাকা পূর্ব কাস্টম এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার কাজী মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, আয়কর বিভাগের অতিরিক্ত কর কমিশনার সেহেলা সিদ্দিকা, উপকর কমিশনার মামুন মিয়া এবং কর পরিদর্শক লোকমান আহমেদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, অতিরিক্ত কর কমিশনার সেহেলা সিদ্দিকা হলেন এনবিআরের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের মহাসচিব।
দুদকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অসাধু সদস্য ও কর্মকর্তারা কর ও শুল্ক আদায়ের ক্ষেত্রে মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে করদাতাদের কর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিক ও এনবিআরের কর্মকর্তারা নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য নির্ধারিত পরিমাণ কর আদায় না করে তাদের করের পরিমাণ কমিয়ে দিতেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ক্ষেত্রে প্রতি বছর সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা ঘুষ না পেয়ে কর ফাঁকি দেওয়ার মিথ্যা মামলা করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মালিককে হয়রানি করেন।
এর আগে গত চার দিনে এনবিআরের সদস্য, কমিশনারসহ উচ্চ পদের ১১ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। তাদের মধ্যে এনবিআরের দুজন সদস্যও আছেন। এ ছাড়া এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদারও আছেন।