ফসলের মাঠজুড়ে গাঢ় সবুজ কচু গাছ। সাড়ে পাঁচ বিঘা জমিতে শুধুই বারি-১ জাতের কচু। প্রতিটি গাছের গোড়া থেকে বের হয়েছে অসংখ্য লতি। দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে চার তরুণ উদ্যোক্তার এ সাফল্য এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। অল্প খরচে ভালো লাভ হওয়ায় অনুপ্রাণিত হয়ে স্থানীয় কৃষকরা কচুরলতি চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। এই চার তরুণ উদ্যোক্তা উচ্চ ফলনশীল ও লাভজনক ফসল চাষে অভিজ্ঞ। এবার তারা দুই বছরের জন্য উপজেলার জালগাঁও গ্রামে ১১ বিঘা জমি লিজ নিয়েছেন। তার মধ্যে সাড়ে পাঁচ বিঘা জমিতে চাষ করেছেন বারি-১ জাতের কচু। যশোর থেকে সংগ্রহ করা চারা গত মার্চে জমিতে রোপণ করেন তারা। এতে খরচ হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। প্রতি সপ্তাহে তারা ২৫ মণ কচুরলতি বাজারে সরবরাহ করছেন। যার প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা দরে।
স্থানীয় কৃষক তারেক রহমান বলেন, ‘এ এলাকায় কচুরলতির চাষ ছিল না। এই চার তরুণ যা করে দেখাল, তা অভাবনীয়। আগামীতে আমিও কচুরলতি চাষের চিন্তা করছি।’ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়ন কুমার শাহা বলেন, ‘বোচাগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে তরুণ কৃষি উদ্যোক্তাদের সার্বক্ষণিক কারিগরি পরামর্শ প্রদান করছি। আশা করছি তারা কচুরলতি আবাদ করে ভালো লাভবান হবেন।’