খুলনা ও নওগাঁয় নিয়মিত বাজার মনিটরিং না থাকায় হঠাৎ বেড়েছে চালের দাম। খুচরা বাজারে সব ধরনের চালের দাম কেজিপ্রতি ৩ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। ভরা মৌসুমে চালের দাম বাড়ায় মিল মালিকদের দোষারোপ করছেন ব্যবসায়ীরা। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধির পাঠানো খবর-
খুলনা : গতকাল বিভিন্ন বাজার ও খুচরা দোকান ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহ ধরেই চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী। পাইকারি বাজারে চালের বস্তাপ্রতি ২০০-৩০০ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছে। নিউমার্কেট, শেখপাড়া, জোড়াকলসহ কয়েকটি বাজারে গত সপ্তাহে মিনিকেট চাল ৭২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮২ টাকায়। মোটা চাল ৫৮ থেকে বেড়ে ৬০ টাকা, আটাশ বালাম ৭০ থেকে ৭২ টাকা, স্বর্ণা ৫৩ থেকে ৫৫ টাকা, বাংলামতি ৮০ টাকা থেকে ৮৭-৯০ টাকা, নাজিরশাইল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, পোলাও চাল ১২০ টাকা থেকে বেড়ে ১২৫-১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা জানান, বাজার মনিটরিং না থাকায় ভরা মৌসুমেও চালের দাম বেড়েছে। বৈরী আবহাওয়ায় ধান শুকাতে না পারা, ধানের দাম বৃদ্ধি ও পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধির অজুহাতে চালের দাম বাড়িয়েছেন মিলাররা।
জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ওয়ালিদ বিন হাবিব জানান, কারণ ছাড়া চালের দাম বৃদ্ধি করা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নওগাঁ প্রতিনিধি : দুই সপ্তাহের ব্যবধানে জেলার বাজারগুলোতে কেজিপ্রতি চালের দাম বেড়েছে ৩ থেকে ৫ টাকা। শহরের আলুপট্টি এলাকার কয়েকটি আড়তে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিভিন্ন মিলগেটে ৫০ কেজির প্রতি বস্তা চালের দাম ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা বেড়েছে। কাটারি চাল ৬৪-৬৫ টাকা থেকে বেড়ে ৭০-৭২ টাকা, জিরাশাইল ৬৪-৬৫ থেকে ৬৮-৭০ টাকা, আটাশ ৫৫-৫৬ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পৌর ক্ষুদ্র চাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মকবুল হোসেন বলেন, বৈরী আবহাওয়া ও ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় চালের দাম বেশি। তাছাড়া কিছু ব্যবসায়ী ও আড়তদারের ধান মজুত করে রাখাও চালের দাম বাড়ার জন্য দায়ী। জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, গত দুই সপ্তাহে ধানের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। ধানের দাম বাড়লে চালের দাম বাড়ে।