চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ২৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ, যা আয়ের প্রবৃদ্ধিতে শীর্ষে। তবে প্রবৃদ্ধি বাড়লেও এখনো মোট আয়ের হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানিতে আগের মতোই তিন নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশ। শীর্ষে চীন এবং দুই নম্বরে রয়েছে ভিয়েতনাম।
গত বছরের প্রথম তিন মাসে যেখানে বাংলাদেশ ১ হাজার ৭৫৬ মিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, সেখানে এবার ২ হাজার ২২৩ মিলিয়ন ডলার। যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক শীর্ষ ১০ দেশের তুলনায় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বেশি। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (ওটেক্সা) এক পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রথম তিন মাসে আয়ের প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশের পরই রয়েছে ভারত (২৪.০৪ শতাংশ)। এরপর ইন্দোনেশিয়া (২০.০০ শতাংশ), পাকিস্তান (১৭.৪৯ শতাংশ), কম্বোডিয়া (১৪.৬৯ শতাংশ), ভিয়েতনাম (১৩.৯৬ শতাংশ), চীন (৪.১৮ শতাংশ), মেক্সিকো (২.৩৪ শতাংশ), কোরিয়া (২.১৭ শতাংশ)। তবে রপ্তানিকারক শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে কমেছে শুধু হন্ডুরাসের
(-১০.১১ শতাংশ)। এই তিন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে ভিয়েতনাম। দেশটি ৩ হাজার ৮৭৬ মিলিয়ন (প্রায়) ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা চীন ৩ হাজার ৫৯৬ মিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে।
এককভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হিসাবে, গত অর্থবছর বাংলাদেশের মোট পণ্য রপ্তানির ১৭ শতাংশের গন্তব্য ছিল যুক্তরাষ্ট্র। এই বাজারে রপ্তানি হওয়া বাংলাদেশি পণ্যের ৮৭ শতাংশই তৈরি পোশাক।