আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে থাকা রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার সক্ষমতা বাংলাদেশ সরকারের রয়েছে। বাংলাদেশের যে কাঠামো রয়েছে তার মাধ্যমেই রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠানো সম্ভব। এর জন্য আলাদাভাবে করিডর করার কোনো প্রয়োজন নেই। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, মানবিকসহায়তা বলতে যদি সীমান্তে খাবার পৌঁছে দেওয়াকে বোঝানো হয়ে থাকে তাহলে সেই সক্ষমতা বাংলাদেশের যেকোনো বাহিনীরই রয়েছে। আর কোনো দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে হলে সেই দেশের অনুমতির প্রয়োজন হয়। তবে মিয়ানমার সরকার এখন পর্যন্ত বাংলাদেশকে সেই অনুমতি দেয়নি। আর আরাকান আর্মিই কেন বাংলাদেশকে তাদের ভূখে প্রবেশ করতে দেবে সেটাও প্রশ্ন থেকে যায়। জাতিসংঘ প্রাথমিকভাবে রাখাইনে মানবিক করিডরের প্রস্তাবনা দিলেও আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে দুই দেশের সরকারের সম্মতিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে।
তিনি বলেন, মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে আমরা সর্বোচ্চ যেটা করতে পারি, তা হলো- সীমান্তে খাদ্য ও চিকিৎসাসামগ্রী পৌঁছে দিতে পারি। এ কাজে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা রয়েছে। বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য ও চিকিৎসাসহায়তা দেশের চলমান কাঠামোতেই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আমরা যেহেতু ১.২ মিলিয়ন শরণার্থীকে আশ্রয় দিতে পেরেছি সহায়তাও পৌঁছে দিতে পারব। এ কাজের জন্য জাতিসংঘ কিংবা বাইরের কোনো দেশের সহায়তার প্রয়োজন নেই।