ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ফ্যামিলি কার্ডধারীদের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রির জন্য ২ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল এবং ১ কোটি ১০ লাখ লিটার রাইস ব্রান তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি লিটার রাইস ব্রান তেলের মূল্য ধরা হয়েছে ১৬১ টাকা। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ধরা হয়েছে ১৬৫ টাকা ৮৫ পয়সা। সয়াবিন তেলের তুলনায় লিটারে ৪ টাকা ৮৫ পয়সা কমে রাইস ব্রান তেল কিনতে পারছে সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে এ তেল কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। সয়াবিন তেল কিনতে ৩৬৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং রাইস ব্রান তেল কিনতে ১৭৭ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয় হবে। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১ কোটি ১০ লাখ লিটার পরিশোধিত রাইস ব্রান তেল ক্রয়ের জন্য অভ্যন্তরীণ উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হলে তিনটি দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশে রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দুটি দরদাতা প্রতিষ্ঠান ঢাকার তামিম অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে ২০ হাজার লিটার এবং যশোরের মজুমদার ব্রান অয়েল মিলস লিমিটেড থেকে ৯০ হাজার লিটার তেল কেনার সিদ্ধান্ত নেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে আরেক প্রস্তাবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ২ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন চায়। এ প্রস্তাবটিও অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
প্রতি লিটার ১৬১ টাকা হিসাবে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার পরিশোধিত রাইস ব্রান তেল কিনতে মোট ব্যয় ধরা হয় ১৭৭ কোটি ১০ লাখ টাকা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তেল কেনার প্রস্তাব বৈঠকে উপস্থাপন করা হলে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি তা অনুমোদন দেয়। এ ছাড়া সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে আরেক প্রস্তাবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ২ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন চায়। এ প্রস্তাবটিও অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।