জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া প্রতিনিধিদের প্রশংসা করে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান আলী রীয়াজ বলেছেন, আপনাদের সহযোগিতা ও অবদান আমরা কৃতজ্ঞতা ভরে স্মরণ করব।
শনিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রতিনিধি দলের বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘দেশের ইতিহাসে বারবার দেখেছি গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষাকে কীভাবে পর্যবসিত করা হয়। এক ব্যক্তির একক সিদ্ধান্তে রাষ্ট্র চলেছে। আপনাদের আন্দোলনের কারণে এই অবস্থা থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি। এখন সেই ব্যবস্থা অপসারণ ও রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে সংস্কারের কাজ চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কমিশনগুলোর সুপারিশে যা যা একমত হয়েছে সেগুলো আমরা চিহ্নিত করেছি। জাতীয় আকাঙ্ক্ষায় জাতীয় সনদ তৈরি করা হবে।’
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে আরও রয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফররাজ হোসেন ও ড. ইফতেখারুজ্জামান।
অন্যদিকে এনসিপির পক্ষ থেকে থেকে রয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব নাহিদা সারোয়ার নিভা, যুগ্ম আহ্বায়ক জাভেদ রাসেল।
এসময় সংলাপের সূচনা বক্তব্যে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আমরা ৯০ গণঅভ্যুত্থানের কথা বইয়ে পড়েছি, কিন্তু যে আকাঙ্ক্ষায় জনগণ রাস্তায় নেমে আসে, সে আকাঙ্ক্ষাগুলো বিভিন্ন সময় আমরা দেখেছি, ব্যর্থ হয়েছে। সেই ব্যর্থতার ফলেই ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদের শাসন ব্যবস্থার প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছিল। তাই আমরা চাই, এবারের জুলাই গণঅভ্যুত্থান যেন কোনোভাবেই ব্যর্থ না হয়।
বিডি-প্রতিদিন/শআ