ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের কুমারখালী গ্রামে। আহতদের মধ্যে ১২ জনকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে দুই জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া আহতদের মধ্যে ৩ জন নারী রয়েছেন। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাতটার দিকে শুরু হয়ে একঘণ্টার অধিক সময় এ সংঘর্ষ ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুটি পক্ষ রয়েছে। এ দুই পক্ষের মধ্যে মাঝেমধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গত ৭-৮ বছর আগে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নাসির মাতুব্বর নামক এক ব্যক্তি হিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন আবু তারা মাতুব্বর ও অপরপক্ষের নেতৃত্ব দেন নুর হোসেন মাতুব্বর। শুক্রবার সন্ধ্যার একটু আগে কুমারখালী গ্রামের পার্শ্ববর্তী আজিমনগর মোড়া নামক স্থানে খালের সেতুর উপর নূর হোসেন মাতুব্বর (৪২) ও প্রতিপক্ষ মোখলেছ মাতুব্বর (৪১) এর মধ্যে তর্ক বিতর্ক ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দুই পক্ষের লোকজন ঢাল, সড়কি, ইট পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় দুই পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ১২ জনকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আহতদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংঘর্ষে আহত হয়ে ভর্তি হওয়া ১২ জনের মধ্যে ৯ জন আবু তারা মাতুব্বরের পক্ষের ও ৩ জন নূর হোসেন মাতুব্বরের পক্ষের। এদের মধ্যে আবু তারা মাতুব্বরের পক্ষের মজিবর হাওলাদার (৪৬) ও তার ছেলে মাসুম হাওলাদারকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রেরণ করা হয়েছে।
আবু তারা মাতুব্বরের পক্ষের মো. মোকলেছ মাতুব্বর (৪০) বলেন, সম্পূর্ণ বিনা কারণে নূর হোসেন মাতুব্বর ও তার লোকজন আমার উপর হামলা চালিয়েছে। আমাকে কুপিয়ে আহত করেছে। খবর পেয়ে আমার পক্ষের লোকজন এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মেরে আহত করা হয়েছে।
নূর হোসেন মাতুব্বর বলেন, আবু তারা মাতুব্বর, মোখলেছ মাতুব্বর এরা হত্যা মামলার আসামি। কয়েক বছর আগে এরা আমাদের দলের নাসির মাতুব্বরকে খুন করে। হত্যা মামলাটি আদালতে বিচারাধীন। এ কারণে এরা স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য চাপ দেয় ও আমাদের উপর আক্রমণ করে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, সংঘর্ষের খবর শুনে আমি পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। কোন পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ