বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও ফুটবলার আবদুস সালাম মুর্শেদী সড়ক নম্বর বদলে দিয়ে সরকারের পরিত্যক্ত সম্পত্তি হাতিয়ে নেন। বাড়িটি নেওয়ার ক্ষেত্রে খুবই কৌশলী ছিলেন তিনি। গুলশানের ১০৪ নম্বর সড়কের প্লটটিকে ১০৩ নম্বর সড়কের দেখিয়ে সেটি দখলে নেওয়া হয়। জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠানো হয়। সেখানে বলা হয়েছে, সালাম মুর্শেদীকে প্লট বরাদ্দ দেওয়ার কোনো নথি মন্ত্রণালয়ে নেই। সরেজমিন দেখা গেছে, গুলশান-২ এর গুলশান শপিংমলের পাশ ঘেঁষে ১০৩ নম্বর সড়কটি সোজা পূর্বদিকে চলে গেছে। আর গুলশান লেকের অন্তত দুটি প্লট বাদে পশ্চিমে দক্ষিণ দিক থেকে আসা কিছুটা বাঁক নিয়ে ১০৪ নম্বর সড়কটি গেছে উত্তরে গুলশন-২ এর গোল চত্বরের কাছে। ১০৪ নম্বর সড়কের মাঝে এসে মিলিত হয়েছে ১০৩ নম্বর সড়ক। ১০৩ এবং ১০৪-এর পশ্চিম-উত্তর কোণেই সালাম মুর্শেদীর ২৭ নম্বর প্লটটি। সেখানে ‘যেথায়’ নামে দুই তলা একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি নির্মাণ করেছেন তিনি। বাড়িটির প্রধান ফটক থেকে বের হলেই ১০৪ নম্বর সড়ক। ওই প্লট প্রায় ১ বিঘা ৭ কাঠা আয়তনের। সেখানে নির্মাণ করা বাড়ির মূল্য প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। দুদক সূত্র জানায়, ১৯৬০ সালের ১ সেপ্টেম্বর গুলশান-২ এর ১০৪ নম্বর সড়কের সিইএন (ডি)-২৭ নম্বর প্লটটি ঢাকা রি-রোলিং মিলসকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্লটটির মালিক আবদুল হামিদ হাসানালি গং পাকিস্তানি হওয়ায় যুদ্ধের সময় তারা পাকিস্তান চলে যান। ওই সময়ে ওয়াসিউর রহমান নামে এক ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানটির অ্যাটর্নি হিসেবে নিজেকে দাবি করে প্লটটিতে বসবাস করা শুরু করেন। এর পর তিনি ১৯৭২ সালের ২৫ জুন প্লটটি তার স্ত্রী মালেকা রহমানের নামে ক্রয় করা হয়েছে উল্লেখ করেন। যুদ্ধের পর প্লটটি সরকারি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত করা হয়। ১৯৭৫ সালে ২৮ অক্টোবর মালেকা রহমান রাজউক ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সহায়তায় জাল-জালিয়াতির মাধ্যম ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে প্লটটি পরিত্যক্ত সম্পত্তি অবমুক্ত করেন। সেখানে কৌশলে ১০৪-এর বদলে ১০৩ নম্বর সড়ক উল্লেখ করা হয়। সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা বাড়ি উদ্ধারের জন্য ২০২৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি গণপূর্ত সচিবকে চিঠি দেয় দুদক। এর আগে ২০২২ সালের ১১ আগস্ট বাড়ি দখলের বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য চিঠি দেয় সংস্থাটি। চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় তদন্ত করে ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর দুদকে একটি প্রতিবেদন পাঠায়। ওই প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে সংস্থাটি। এ ছাড়া সালাম মুর্শেদীর অবৈধভাবে বাড়ি দখল নিয়ে ২০২৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্টে একটি রিট করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। অনুসন্ধানে জালিয়াতির মাধ্যমে বাড়িটি বরাদ্দ দেওয়ার তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়। দুদক সে সময় সালাম মুর্শেদীকে বাদ দিয়ে রাজউক ও গণপূর্তের ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে।
শিরোনাম
- ফ্যাসিষ্টের দোসর ও নব্য বিএনপি থেকে সাবধান : মজনু
- ঈদের লম্বা ছুটিতে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনারের স্তূপ
- হজ ব্যবস্থাপনায় কোনো ত্রুটি বরদাশত করা হবে না : ধর্ম উপদেষ্টা
- গলাচিপায় শুভসংঘের উদ্যোগে জমিতে অতিরিক্ত সার ও কীটনাশক প্রয়োগ বিষয়ক সচেতনামূলক সভা
- নিখোঁজ সেই গৃহবধূ পরকীয়া প্রেমিকসহ উদ্ধার
- বাউবিতে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
- বগুড়ায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নারী নিহত
- কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ইমাম গ্রেফতার
- গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচির ডাক
- ইসরায়েলি গণহত্যার বিরুদ্ধে হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভকারীদের প্রতিবাদ
- জাজিরার সেই ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
- বগুড়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে সাবেক এমপি লালু
- জয়পুরহাটে তুচ্ছ ঘটনায় হোটেল শ্রমিক নিহত, আটক ১
- বাংলাদেশে ব্যবসার অনুমোদন পেয়েছে স্টারলিংক
- ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ : ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দুই চিঠি যাবে যুক্তরাষ্ট্রে
- গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে ফেনীতে বিক্ষোভ
- পিএসএলের ধারাভাষ্য প্যানেলে আতাহার আলী
- টাউনসভিলে বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রাণবন্ত মিলনমেলা
- ঈদের পর প্রথম কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে বেড়েছে লেনদেন
- আওয়ামী রাজনীতি ও ভারতের দাদাগিরি চলবে না : জাগপা
প্রকাশ:
০০:০০, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৫
আপডেট:
০২:০৫, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৫
সড়ক নম্বরে কারসাজি করে প্লট হাতান সালাম
মাহবুব মমতাজী
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর