শরীয়তপুরের জাজিরার বিলাসপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও হাতবোমার বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ। গতকাল সকালে জাজিরা থানায় দায়েরকৃত মামলায় দুই পক্ষের ৮৮ জনের নাম উল্লেখসহ ১ হাজার জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলার বাদী পুলিশের উপপরিদর্শক সঞ্জয় কুমার দাস। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও র্যাব।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিলাসপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারী ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জলিল মাদবরের সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের। এদের মধ্যে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। শনিবার সকালে কাজিয়ারচর এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে পুনরায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় বাড়িঘর ভাঙচুরসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে একজনের হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হওয়াসহ উভয় পক্ষের অন্তত নয়জন আহত হয়। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিষয়টি নিয়ে র্যাব-৮ মাদারীপুর এর কোম্পানি কমান্ডার ও পুলিশ সুপার মো. মনির হোসেন জানান, র্যাব-৮ ও র্যাব-৩-এর যৌথ অভিযানে ঢাকার মোমিনবাগ এলাকা থেকে দিবাগত রাত ১টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি এই মুহূর্তে র্যাবের হেফাজতে রয়েছেন। এ বিষয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দুলাল আকন্দ বলেন, বিলাসপুরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় জাজিরা থানা পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। ইতোমধ্যে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।