যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির হোয়াইট হাউসের সামনে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে বাকস্বাধীনতা দমনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন হাজারো বিক্ষোভকারী।
শনিবার আয়োজিত এই বিক্ষোভটি ছিল ২০২৩ সালের অক্টোবরের পর সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহর থেকে অংশগ্রহণকারীরা ফিলিস্তিন, আরব, মুসলিমসহ নানা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করে এই বিক্ষোভে যোগ দেন। প্রতিবাদকারীরা মার্কিন সরকারের ইসরায়েলের প্রতি অটুট সমর্থন এবং ফিলিস্তিনে ক্রমাগত হামলার পরিপ্রেক্ষিতে তীব্র সমালোচনা করেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনকে ইসরায়েলের চরমপন্থি সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তারা। সেইসঙ্গে, ইসরায়েলকে দেওয়া মার্কিন সামরিক ও আর্থিক সহায়তা বন্ধের দাবি জানান।
বিক্ষোভের একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি ছিল, ফিলিস্তিনের অধিকার সমর্থনকারী শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি বন্ধ করা। প্রতিবাদকারীরা রাস্তার পাশে বিভিন্ন রঙের জুতা সাজিয়ে রাখেন, যা গাজার নিহত হাজারো শিশুর প্রতি শ্রদ্ধা ও প্রতিবাদের চিহ্ন হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
এছাড়া, ফিলিস্তিনের ভুক্তভোগীদের নাম লেখা একটি বিশাল ব্যানারও প্রদর্শন করা হয়, যা আন্দোলনের শক্তি এবং চেতনা আরও শক্তিশালী করে।
এটি শুধু ওয়াশিংটন ডিসিতেই নয়, বিভিন্ন মার্কিন শহর ও ইউরোপীয় শহরেও অনুষ্ঠিত হয়েছে। গ্লোবাল ডে অব অ্যাকশনের অংশ হিসেবে এসব প্রতিবাদে ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক বাণিজ্য নীতি এবং গাজার গণহত্যার বিরুদ্ধে সশক্ত আওয়াজ তোলেন অংশগ্রহণকারীরা।
বিশ্বব্যাপী এই আন্দোলনের মাধ্যমে বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনের ভুক্তভোগীদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানান।
তথ্য: ওয়াফা নিউজ এজেন্সি
বিডি প্রতিদিন/কেএ