জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান বলেছেন, গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ বাংলার মাটিতে সব ধরনের রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে। আর ওই আওয়ামী লীগের প্রভু ভারত তাদের স্টেকহোল্ডার আওয়ামী লীগের গদি হারিয়েছে। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা একই সাথে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এবং তাদের প্রভু ভারতকে পরাজিত করেছি। অতএব বাংলার জমিনে আওয়ামী লিগের রাজনীতি ও ভারতের দাদাগিরি আর চলবে না।
রবিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাগপার ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জাগপা আয়োজিত ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতি এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদ নিপাত যাক’ শীর্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে জাগপা সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেন, নরেন্দ্র মোদি টুইট করেছে বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা আর সীমান্তে অবৈধ প্রবেশ নিয়ে। আমি নরেন্দ্র মোদীকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে শেখ হাসিনা আর আওয়ামী নেতারা। সীমান্তে সাধারণ বাংলাদেশিদের হত্যা না করে অবৈধ প্রবেশকারী আওয়ামী নেতাদের গ্রেফতার করুন।
নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে তিনি বলেন, বাংলাদেশের হিন্দুরা শেখ হাসিনার বিদায়ের পর শান্তিতে আছে। আপনি বরং হিন্দুস্তানের মুসলমানদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করুন। হোলি উৎসবের নামে পবিত্র রমজান মাসে মুসলমানদের অত্যাচার করেছেন। ভারতে মসজিদ দেখলেই আপনাদের মনে হয় মাটির নিচে মন্দির আছে, আর এখন ওয়াকফ সংশোধনী বিলের মাধ্যমে মুসলিমদের দানকৃত মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান ও আশ্রয়কেন্দ্রের মতো ধর্মীয় সম্পদগুলো দখলের নীলনকশা করেছেন। বাংলাদেশের ভেতরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারকে উৎখাত করার লক্ষ্যে পলাতক আওয়ামী নেতাদের কলকাতা, আগরতলা, মেঘালয় ও দিল্লির মাটিকে নির্বিঘ্নে ব্যবহার করার সুযোগ দিচ্ছেন। কথাবার্তা পরিষ্কার ভারতের নীলনকশা বাংলায় আর চলবে না, আওয়ামী রাজনীতি চলবে না। জুলাই, পিলখানা, শাপলা এবং লগিবৈঠা গণহত্যার বিচার হবে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যুব জাগপা সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু। এ সময় বক্তব্য রাখেন জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, মো. হাসমত উল্লাহ, সহ-সভাপতি ভিপি মজিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ হোসেন ফিরোজ, শাহাজান আহমেদ লিটন, মো. হেলাল উদ্দিন, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম হাসু, ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক শ্যামল চন্দ্র সরকার, শ্রমিক জাগপা সভাপতি আসাদুজ্জামান বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন, যুব জাগপা সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি. মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, জাগপা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক জীবন আহমেদ অভি, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জামাল আকন্দ, দপ্তর সম্পাদক মাহবুব আলম, জাগপা নেতা জিয়াউল আনোয়ার প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/কেএ