জুলুম এক মহা অপরাধ। জুলুমকারীদের জন্য আখেরাতে কঠিন শাস্তি অপেক্ষা করছে। তারা তাদের অপকর্মের জন্য ক্ষমা পাবে না। যারা নিজেদের জুলুমকারী হিসেবে গর্ববোধ করে, তারা প্রকৃত পক্ষে হতভাগ্য। হজরত আবু মুসা (রা.) বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেলেন : আল্লাহতায়ালা অত্যাচারীকে এক নির্দিষ্ট সময়সীমা পর্যন্ত অবকাশ দিয়ে থাকেন। অবশেষে তাকে যখন পাকড়াও করেন তখন আর ছাড়েন না। অতঃপর তিনি এ আয়াতটি পাঠ করলেন, তোমার প্রতিপালকের ধরা এরূপ যে যখন তিনি অত্যাচারী জনপদকে পাকড়াও করেন, তাঁর ধরা কঠিন (মুত্তাফাক আলাইহি, বুখারি হা/৪৩১৮; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৪৮৯৭)। হজরত ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- জুলুম কেয়ামতের দিন বহু অন্ধকারের কারণ হবে (মুত্তাফাক আলাইহি, মিশকাত হা/৫১২৩)।
হজরত ইবনে উমর (রা.) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ছামুদ সম্প্রদায় ধ্বংস হওয়ার এলাকা পার হচ্ছিল তখন বললেন- তোমরা ওই সব লোকের বাসস্থানে প্রবেশ কর না যারা নিজেদের প্রতি অত্যাচার করেছে। তবে আল্লাহর কাছে ক্রন্দনরত অবস্থায় প্রবেশ করতে পার। কারণ তোমাদের ওপর ওই বিপদ আসতে পারে, যা তাদের ওপর এসেছিল। তারপর রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তরবারি মাথায় করে ওই এলাকা দ্রুত পার হয়ে গেলেন (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত হা/৫১২৫)। হজরত আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- কেউ কারও প্রতি যদি সম্মানের ব্যাপারে বা কোনো কিছুর ব্যাপারে অত্যাচার করে থাকে তাহলে আজকেই সে যেন তা সমাধা করে নেয়, ওই দিন আসার আগে যেদিন তার কাছে কোনো অর্থসম্পদ থাকবে না। ওই দিন সৎ আমল থাকলে অন্যায় পরিমাণ নিয়ে নেওয়া হবে। আর সৎ আমল না থাকলে তার পাপগুলো নিয়ে অপরাধীর ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে (বুখারি, মিশকাত হা/৫১২৬)।
বিডি প্রতিদিন/এমআই