ইসরায়েল থেকে মুক্তির পর সুমুদ ফ্লোটিলার শতাধিক কর্মীর সঙ্গে সোমবার গ্রিসে পৌঁছেছেন সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনের নেত্রী গ্রেটা থুনবার্গ। তাদের বহনকারী বিশেষ প্রত্যাবাসন ফ্লাইটটি এথেন্স আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে, যেখানে শত শত উল্লসিত জনতা তাদের বরণ করে নেয়।
এসময় ২২ বছর বয়সী থুনবার্গ বলেন, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ছিল সমুদ্রপথে ইসরায়েলের অবৈধ ও অমানবিক অবরোধ ভাঙার সবচেয়ে বড় প্রচেষ্টা। এমন একটি অভিযানের প্রয়োজনীয়তাটাই মানবতার জন্য লজ্জাজনক। বিশ্বকে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে, গণহত্যা বন্ধ করতে হবে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, আমরা আমাদের সরকারগুলোর কাছ থেকে ন্যূনতম পদক্ষেপও দেখতে পাচ্ছি না।
ফ্লোটিলার কর্মীরা ইসরায়েলে গ্রেফতার ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ফরাসি-ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ইউরোপীয় সংসদ সদস্য রিমা হাসান জানান, তাকে গ্রেফতারের সময় মারধর করা হয় এবং উচ্চ নিরাপত্তার একটি কারাগারে অমানবিকভাবে গাদাগাদি করে রাখা হয়।
তিনি বলেন, দুজন পুলিশ অফিসার আমাকে ভ্যানে তোলার সময় মারধর করে। একটি ছোট কক্ষে ১৫ জনকে ঠেসে রাখা হয়েছিল।
ফ্লোটিলার পরিচালনা কমিটির সদস্য ইয়াসমিন আকার অভিযোগ করেন, আমাদের সাথে পশুর মতো ব্যবহার করা হয়েছে, সন্ত্রাসী হিসেবে দেখা হয়েছে। আমাদের ঘুমাতে দেওয়া হয়নি, খাবার বা পানিও ছিল না। প্রথম ৪৮ ঘণ্টা কোনো মানবিক আচরণ পাইনি।
তবে ইসরায়েল এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এদিকে, গ্রীসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বিশেষ ফ্লাইটে ২৭ জন গ্রিক এবং ১৫টি ইউরোপীয় দেশের আরও ১৩৪ জন নাগরিক এথেন্সে পৌঁছেছেন।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা মোট ১৭১ জনকে গ্রীস ও স্লোভাকিয়ায় ফেরত পাঠিয়েছে।
স্লোভাকিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের এক নাগরিকসহ নেদারল্যান্ডস, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের নয়জন কর্মী সেখানকার বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন।
ইসরায়েলি পুলিশ বলেছে, ফ্লোটিলার নৌযানগুলো থেকে ৪৭০ জনের বেশি কর্মীকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এখনও ১৩৮ জন কর্মী ইসরায়েলের হেফাজতে আছেন। সূত্র : এএফপি।
বিডি-প্রতিদিন/মাইনুল