ইরানের একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার ভোরে এই হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা এবং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু ছিল বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
ইরানে হামলার পর পাল্টা প্রতিশোধের আশঙ্কায় পুরো ইসরায়েল জুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সরকার। শুক্রবার ভোর ৩টা থেকে সব শিক্ষা কার্যক্রম, সামাজিক জমায়েত এবং সাধারণ কর্মস্থল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কেবল জরুরি ও প্রয়োজনীয় সেবা চালু থাকবে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ‘হোম ফ্রন্ট কমান্ড’-এর নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, দেশজুড়ে সব এলাকা ‘সম্পূর্ণ কার্যক্রম’ থেকে ‘আবশ্যিক কার্যক্রম’-এ রূপান্তরিত হয়েছে।
জেরুজালেমজুড়ে সাইরেন বাজানো হয়েছে এবং নাগরিকদের মোবাইলে সতর্ক বার্তা পাঠানো হয়েছে, যাতে তারা প্রস্তুত থাকে। সিএনএন-এর জেরুজালেম ব্যুরো প্রধান ওরেন লিবারম্যান জানিয়েছেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে নাগরিকদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে যে, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এখন সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে।
সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়, সম্ভাব্য ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকাতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইরানের পাল্টা আঘাত যে কোনো সময় আসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পরিস্থিতি দ্রুত বদলে যাওয়ায় নাগরিকদের নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করতে এবং সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, এই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা আগাম প্রস্তুতির অংশ, যাতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো যায়।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল