খাগড়াছড়িতে স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে। দূরপাল্লা ও আন্ত উপজেলা যাত্রীবাহী সব যানবাহন স্বাভাবিক চলাচল করছে। পণ্যবাহী ট্রাকগুলোও বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করছে। জেলা প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারা বহাল রয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘অবরোধ, মিছিল, মিটিং এসবের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের দিকে। সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, আনসার টহল দিচ্ছে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোয় নিরাপত্তা জোরদার রয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ফেনীসহ বিভিন্ন জেলার যাত্রীবাহী কোচ আসা-যাওয়া করছে। খাগড়াছড়ি থেকে সাজেকে পর্যটকবাহী পিকআপ চলাচল করছে।’
খাগড়াছড়িতে কিশোরীকে ধর্ষণ অভিযোগের ঘটনা কেন্দ্র করে ২৭ সেপ্টেম্বর সহিংসতায় যেসব পরিবার এবং ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের আর্থিক ও ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন। গতকাল বিকালে খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে সদর উপজেলাসংলগ্ন স্থানসহ স্বনির্ভর বাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ২৭ পরিবারের মাঝে ৩০ কেজি চাল ও ৭ হাজার ৫০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এ সময় জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, ‘সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরী বাহিনী একসঙ্গে কাজ করছে। মানুষের জীবনে যাতে স্বস্তি ফিরে আসে ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে কাজ করছি। অবরোধ স্থগিত করা হয়েছে। ১৪৪ ধারা অব্যাহত রয়েছে, তবে শিথিল করা হয়েছে। যানবাহন চলছে, দোকানপাট খুলেছে; মানুষের মধ্যে স্বাভাবিকতা ফিরে এসেছে।’
পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল বাতেন মৃধা, জেলা বিএনপির সহঅর্থ সম্পাদক জহির আহম্মেদ, প্রেস ক্লাব সভাপতি তরুণ কুমার ভট্টাচার্যসহ স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে জুম্ম ছাত্র-জনতা মঙ্গলবার রাত ১১টা থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত খাগড়াছড়িতে অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করে।