গাজায় হত্যাযজ্ঞ থামানোর পাশাপাশি হামাসের হাতে জিম্মি থাকাদের মুক্তির দাবিতে ইসরায়েলিদের ভিতরে অসন্তোষ বাড়ছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দেশটির রাজধানী তেল আবিবসহ বিভিন্ন শহরে হাজারো মানুষ এ দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন। ‘ডে অব ডিজরাপশন’ বা ‘ব্যাঘাতের দিন’ নামে কর্মসূচি ঘোষণা করে বিক্ষোভে নামেন তারা। এ সময় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করতে দেখা যায় তাদের। ইসরায়েলের সরকারের প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে বিক্ষোভকারীরা বলেন, ‘যুদ্ধের নামে গাজায় শুধু ধ্বংস ও প্রাণহানি ঘটছে, অথচ বন্দিদের মুক্তির কোনো নিশ্চয়তা নেই।’ এ জন্য গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানান তারা। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অনেকে বন্দিদের ছবিসংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। দুই বছর ধরে গাজায় হামাসের হাতে জিম্মি অন্তত ৫০ ইসরায়েলি নাগরিককে অবিলম্বে মুক্ত করার ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা। এদের মধ্যে ২০ জন এখনো জীবিত বলে ধারণা করছে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী। বিক্ষোভ মঞ্চে নিজের অভিজ্ঞতার কথা শোনান হামাসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সাবেক জিম্মি ডরন স্টেইনব্রেকার। তিনি বলেন, ‘আমি মুক্ত হয়েছি, কিন্তু আমার অনেক বন্ধু এখনো গাজায় বন্দি। তাদের আমি ভুলে যেতে পারব না।’ তবে দেশের ভিতরে জনঅসন্তোষ বাড়তে থাকলেও যুদ্ধ থামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া নেতানিয়াহুর জন্য কঠিন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, কট্টর ডানপন্থিদের ওপর ভর করে নেতানিয়াহু সরকার টিকে আছে। আর ডানপন্থি মন্ত্রীরা স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, গাজায় যুদ্ধ থামালে সরকার ভেঙে যাবে। ফলে এ জনঅসন্তোষ কার্যত চলমান গাজা যুদ্ধে প্রভাব ফেলবে না।
এদিকে গাজায় ইসরায়েলের লাগামহীন হামলা ও আন্তর্জাতিক আইন উপেক্ষার প্রেক্ষাপটে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) এবার জাতিসংঘে দেশটির সদস্যপদ স্থগিত করার জন্য চেষ্টার উদ্যোগ নিয়েছে। ইসরায়েলের সদস্যপদ স্থগিত করার জন্য ওআইসির সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সমন্বিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানানো হয়েছে। সূত্র : আলজাজিরা, রয়টার্স, মিডলইস্ট আই, আনাদোলু।