ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার জন্য নীতিমালা প্রায় চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। নতুন নীতিমালা জারি হলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় নিবন্ধিত ৯৬টি সংস্থার নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে। পাশাপাশি আগে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদন দিয়েছে এমন পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন না দেওয়ার বিধানও রাখা হয়েছে। চলতি মাসে ‘নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৫’ জারি করা হতে পারে। এবারের নীতিমালা অনুযায়ী আগামী নির্বাচনে পর্যবেক্ষক হতে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে। গতকাল নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, পর্যবেক্ষক নীতিমালা, ২০২৫ এক সপ্তাহের মধ্যে জারি করার সিদ্ধান্ত হবে। একই সময়ে গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নীতিমালা, বিদেশি পর্যবেক্ষক নীতিমালাও হয়ে যাবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচনি সংবাদ সংগ্রহে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংবাদিক বা গণমাধ্যমকর্মীর জন্য নতুন নীতিমালায় কার্ড পেতে আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। বরং ভোটের তিন দিন আগে সাংবাদিক কার্ডের জন্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন করার বিধান ছিল আগে; এবার তা বাড়িয়ে এক সপ্তাহ আগে করার সুযোগ রাখা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানান, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জারি করা জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা, ২০২৩ বাতিল হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে ওই সময়ে নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন অকার্যকর ও বাতিল হবে। ২০২৩ সালের নভেম্বরে ৯৬টি দেশি সংস্থা নিবন্ধন পেয়েছিল। তিনি জানান, পর্যবেক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি থেকে বাড়িয়ে এইচএসসি করার প্রস্তাব রয়েছে।
আলোচিত সবশেষ তিনটি নির্বাচনে যেসব পর্যবেক্ষক সংস্থা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল তাদের নিবন্ধন না দেওয়ারও বিধান রয়েছে।
নতুন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা জারি হলে সংস্থাগুলোকে নিবন্ধন দেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নীতিমালা মেনে আবেদন করতে হবে আগ্রহীদের। এরপর যাচাইবাছাই শেষ করে ইসি সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর বিষয়ে দাবি-আপত্তি চেয়ে গণবিজ্ঞপ্তি দেবে। কারও বিষয়ে কোনো অভিযোগ থাকলে তা নিষ্পত্তি করে পাঁচ বছরের জন্য নিবন্ধন দেয় কমিশন।