জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. দিলারা চৌধুরী বলেছেন, সংস্কার ও জুলাই হত্যার বিচার ছাড়া নির্বাচন হলে দেশ আগের অবস্থায় ফিরে যাবে। আমরা কেউই সেটা চাই না। সেজন্য সবাইকে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘গণতান্ত্রিক রূপান্তর : মৌলিক সংস্কার ও নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি আয়োজিত এ সভায় সংগঠনের পক্ষ থেকে মৌলিক সংস্কারের রূপরেখার প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।
ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, যারা খুনের আদেশ দিয়েছেন কমপক্ষে তাদের বিচার করতেই হবে। সংস্কার হতেই হবে। তার পর নির্বাচন। একই সঙ্গে বিডিআর হত্যা ও শাপলা চত্বরে হত্যাকাণ্ডের বিচারেরও দাবি জানান তিনি।
এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন এবি পার্টি সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আশরাফ আলী আকন, এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দিন পাটওয়ারী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. শরীফ ভূঁইয়া, বিআইজিডি জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো ড. মির্জা এম হাসান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের মিডিয়া ও প্রচার সমন্বয়ক সৈয়দ হাসিব উদ্দিন হোসেন, এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, খালেদ সাইফুল্লাহ প্রমুখ। এনসিপির মৌলিক সংস্কার প্রস্তাব উপস্থাপন করেন দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক জাভেদ রাসিন। আখতার হোসেন বলেন, এ টি এম আজহার সাহেবের মুক্তির মধ্যদিয়ে একজন ব্যক্তি ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে তার যে অধিকার, সেই অধিকার তিনি অর্জন করেছেন। একই সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর তাদের ঐতিহাসিক যে ভূমিকা, তা জনগণের কাছে পরিষ্কারভাবে উপস্থাপন করতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যে বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে, আমাদের প্রত্যাশা থাকবে হাসিনা আমলের মতো করে নয়, বরং সত্যিকার অর্থে আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে, বিচারব্যবস্থার যে ইউনিভার্সাল কোডগুলো রয়েছে, সেগুলোর ভিত্তিতেই যেন বিচার সম্পন্ন হয়।