ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম ৯৯ দিনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১ লাখ ৩৯ হাজার অবৈধ অভিবাসী বহিষ্কার করা হয়েছে। এ তথ্য দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা টম হোম্যান। ২৮ এপ্রিল ওয়াশিংটন ডিসিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে টম হোম্যান বলেন, সীমান্তকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার আওতায় আনার ফলে বেআইনিভাবে বিদেশিদের প্রবেশের প্রবণতা একেবারেই হ্রাস পাওয়ায় গ্রেপ্তার ও বহিষ্কারের ঘটনা কমেছে। এখানেই আমাদের সফলতা।
এদিকে ২৮ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তিনটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। এর একটি হলো- অবৈধ অভিবাসী ধরপাকড়ের প্রক্রিয়া আরও জোরদারকল্পে ‘স্যাঙ্কচুয়্যারি সিটি’ এবং স্টেটগুলোতে ফেডারেল প্রদত্ত বিপুল অনুদানের খোঁজখবর নেওয়া হবে। অনুদানপ্রাপ্ত সিটি ও স্টেটগুলো প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অগ্রাধিকার-পদক্ষেপে যথাযথ সহায়তা দিচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। বিশেষ করে অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তারে সহযোগিতা এবং অপরাধে দণ্ড ভোগরতদের আইসের কাছে সমর্পণ করা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। আরেকটি আদেশ অনুযায়ী এখন থেকে ফেডারেল সরকার নিয়োজিত ট্রাকচালকদের ইংরেজিতে কথা বলতে হবে। ইতিপূর্বে নিয়োগপ্রাপ্ত ড্রাইভারের মধ্যে যারা ইংরেজি জানেন না তাদের বরখাস্ত করা হবে। অপর আদেশ অনুযায়ী পুলিশ বাহিনীকে অধিক ক্ষমতা দেওয়া হলো, এখন থেকে ফেডারেল নির্দেশনা আরও জোরদারভাবে পালন করতে পারবেন। এদিকে ফেডারেল প্রশাসনের নির্দেশ পালনে যারা গড়িমসি করবে তাদের বিরুদ্ধেও তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়া যাবে। এসব আদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অপরিসীম অবলম্বন হিসেবে অভিহিত করেছেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারলিন লেভিট। তিনি বলেন, গুরুতর অপরাধীদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে এমন নির্বাহী আদেশের গুরুত্ব অপরিসীম।