হেনরি কিসিঞ্জারের রাজনৈতিক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোর সঙ্গে ভিয়েতনাম জড়িয়ে আছে ওতপ্রোতভাবে। ভিয়েতনামের যুদ্ধে দক্ষিণ ভিয়েতনামের পক্ষে যুদ্ধে নেমেছিল আমেরিকা। ভিয়েতনাম প্রসঙ্গে হেনরি কিসিঞ্জারকে যুদ্ধাপরাধী আখ্যা দিয়েছেন অনেক সমালোচক। ভিয়েতনামে তখন চরম যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে, কাতারে কাতারে তরতাজা মার্কিন তরুণের লাশ পড়ছে ভিয়েতনামের পথেঘাটে। সরকারের তাতে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই বরং অনিচ্ছুক তরুণদের বাধ্য করা হচ্ছে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বা যুদ্ধে যেতে। হেনরি কিসিঞ্জার এই সময় বার দুয়েক ভিয়েতনাম সফর করে উত্তর ভিয়েতনামের নেতাদের সঙ্গে শান্তিচুক্তির প্রচেষ্টা চালান। উত্তর ভিয়েতনাম থেকে সব মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করার আহ্বান জানানো হলে কিসিঞ্জারের সরাসরি মদতে প্রেসিডেন্ট নিক্সন উত্তর ভিয়েতনামে এয়ার স্ট্রাইকের আদেশ দেন। শুধু এটুকু করেই ক্ষান্ত হননি কিসিঞ্জার, গোপনে তিনি কম্বোডিয়ার কমিউনিস্ট ঘাঁটিগুলোতে বোমাবর্ষণের নির্দেশ দেন।