দেশের বেসরকারি খাত প্রতি পদক্ষেপে প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি, মার্কিন পাল্টা শুল্কারোপ, রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা, রিজার্ভস্বল্পতা, আর্থিক খাতের অব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং সামাজিক-রাজনৈতিক অস্থিরতায় শিল্পের গতিশীল কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। চামড়া, ওষুধ, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি। বিশেষজ্ঞ বিবেচনায় প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় দেশে শুল্কের হার বেশি। আমরা এখনো আমদানি করের ওপর বেশি নির্ভরশীল। রাজস্ব খাতে সংস্কারের অভাব ও প্রত্যক্ষ করের মাধ্যমে আয় বৃদ্ধিতে ব্যর্থতার ফলে পরোক্ষ কর ও আমদানি করের ওপর অতিনির্ভরতা দেখা দিচ্ছে। সরকার একদিকে প্রণোদনা হ্রাস করছে, অন্যদিকে জ্বালানিসহ অন্যান্য সেবার মূল্য বাড়াচ্ছে। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো, এ সময় ব্যবসায়ীদের কপালে গভীর চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বাংলাদেশের বেরিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ। আগামী বছর বাংলাদেশ এলডিসি তালিকা থেকে বেরিয়ে বহু প্রত্যাশিত উন্নয়নশীল দেশের কাতারভুক্ত হবে। এতে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে পাওয়া কিছু সুবিধা বাতিল হবে। বড় ধাক্কাটা লাগবে রপ্তানি খাতে। কিছু সুবিধাও পাওয়া যাবে, কিন্তু সেগুলো অর্জন করে নিতে হবে। এসব নিয়ে শনিবার এক সেমিনারে বিস্তর আলোচনা হয়। এলডিসি-পরবর্তী সময়ে জিএসপিসুবিধা চলে গেলে আমাদের তৈরি পোশাকের মূল্য সাড়ে ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। তখন বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ার ভয়। তবে এতে পোশাকশিল্প যে ধ্বংস হয়ে যাবে, তেমন আশঙ্কার কারণ নেই। দৃঢ়তার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলায়, এ খাতে উন্নততর পণ্য উৎপাদনে ঝুঁকতে হবে। পণ্যের বহুমুখীকরণের পাশাপাশি গুণমান বর্ধিতকরণেরও সময় এসেছে। বাস্তবতার আপাত সংকটকে সম্ভাবনায় রূপান্তরের চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। বিনিয়োগ আকর্ষণে পরিবেশ, অবকাঠামো ও মানবসম্পদ উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। সময়ের সঙ্গে টেক্কা দিয়ে চলার দৃঢ়তা করায়ত্বের বিকল্প নেই। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হলে দেশ ও জাতির যে মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে, তার মূল্য তো দিতেই হবে। অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হব সত্যি। শুধু তা-ই না, বেশ কিছু ক্ষেত্রে দানধ্যান, অধিক চাঁদাও দিতে হবে। এ সক্ষমতা অর্জনই জাতির জন্য ইতিবাচক। সবকিছু সামাল দিতে পর্যাপ্ত রাষ্ট্রীয় প্রণোদনা এবং ব্যবসায়ী-শিল্পপতি সমাজের সময়োপযোগী কর্মকৌশল গ্রহণ এখন সময়ের সবচেয়ে জরুরি দাবি।
শিরোনাম
- ডিএসসিসির ৭৫ ওয়ার্ডে একযোগে বর্জ্য অপসারণ শুরু
- ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও ২৬ জন
- আইসিসির মাসসেরা খেলোয়াড় আমিরাতের ওয়াসিম
- ১৩২ হলে শাকিব খানের ‘তাণ্ডব’
- অস্ত্রোপচার শেষে কেমন আছেন অভিনেত্রী দীপিকা কক্কর?
- এবার বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে মামলা
- কোরবানির মাংসের কেজি ৬০০ টাকা!
- চাঁদপুরে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত
- ঈদযাত্রায় ছয়দিনে যমুনা সেতুতে ১৯ কোটির বেশি টাকা টোল আদায়
- বর্জ্যের কারণে ঢাকাবাসীর ঈদ আনন্দে বিঘ্ন ঘটবে না : আসিফ মাহমুদ
- রাজবাড়ীতে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত
- কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দিদের ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত
- আগামী ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন করা সম্ভব : ১২ দলীয় জোট
- ঈদের সকালে স্ত্রীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
- অপরাধী বা স্বৈরশাসক যতই ক্ষমতাধর হোক তাদের পতন নিশ্চিত: মঈন খান
- ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন দেওয়ার কোনও যৌক্তিকতা নেই: খোকন
- ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ ময়দানে লক্ষাধিক মুসল্লির ঈদের নামাজ আদায়
- চিকিৎসা না পেয়ে চলন্ত ট্রেনেই মৃত্যু ভারতীয় ক্রিকেটারের
- ঈদের সকালে ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার
- নরসিংদীতে উৎসাহ ও উদ্দীপনায় ঈদুল আজহা উদযাপন