৬৭ মিনিটে খেলায় ফিরলো প্রাণ, সিঙ্গাপুরের জালে পাল্টা গোল দিলো বাংলাদেশ। হামজা চৌধুরীর বানিয়ে দেওয়া বল থেকে সিঙ্গাপুরের গোলকিপারকে বোকা বানান রাকিব। ফলে খেলার ফল এসে ঠেকেছে ২-১ গোলে। দুইটি গোল হজম করার পর বাংলাদেশ একটি গোল শোধ দিতে পেরেছে।
তবে এর আগে বহুবার সুযোগ পেয়েও গোল করতে পারেনি বাংলাদেশ। উল্টো সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এক গোল হজম করেই বিরতিতে গেছে ফুটবল টাইগাররা। এরপর ৫৯ মিনিটে বাংলাদেশকে আরও একটি গোল বাংলাদেশের জালে গড়ায় সিঙ্গাপুর। গোলটি করেছেন ইকসান ফান্দি।
এর আগে প্রথমার্ধে ম্যাচের তখন ৪৪তম মিনিটে বাংলাদেশের রক্ষণে ঢুকে পড়ে সিঙ্গাপুর। গোলকিপার মিতুল বলটা ধরতে পারেননি। বক্সের মধ্য থেকে হেড দিয়ে সিঙ্গাপুরের একজন বল দেন ডান দিকে।
এক পর্যায়ে শট নেন সিঙ্গাপুরের সং উই ইয়াং। হামজা চৌধুরী অনেক দূর থেকে দৌড়ে এসে গোল বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন তবে শেষ রক্ষা করা যায়নি।
সিঙ্গাপুর ম্যাচের প্রথম দশ মিনিটের মধ্যেই এগিয়ে যেতে পারত। হ্যারিস স্টুয়ার্টের লম্বা থ্রো বিপদমুক্ত করতে পারেননি বাংলাদেশ গোলকিপার মিতুল মারমা। সেই সুযোগে জর্ডানের হেড থেকে বল পেয়ে যান সং উই ইয়াং। কিন্তু গোলের খুব কাছ থেকে নেওয়া তার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
৩১ মিনিটে সিঙ্গাপুরের ফরোয়ার্ড ইখসান ফান্দির নেওয়া শট চমৎকারভাবে বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন মিতুল মারমা।
বাংলাদেশের পক্ষে অভিষিক্ত শমিত সোম আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডারের ভূমিকায় বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেন। তবে প্রথমার্ধে কার্যকরী একজন নাম্বার নাইনের অভাব ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে। ফরোয়ার্ড লাইনে খেলা তরুণ ফাহামিদুল ২৪ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখলেও তার খেলা ছিল বেশ প্রাণবন্ত। তিনি বেশ কয়েকবার বল নিয়ে সিঙ্গাপুরের বক্সের দিকে ছুটে যান, কিন্তু ফিনিশিং টাচের অভাবে বারবার হতাশ হতে হয় স্বাগতিকদের।
তবে প্রথমার্ধের শেষ দিকে বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থেই হতাশ করেন সিঙ্গাপুরের সং। হ্যারিসের ক্রস থেকে ডান পায়ের ভলিতে বাংলাদেশের জাল কাঁপিয়ে দেন এই সিঙ্গাপুরি ফরোয়ার্ড।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল