এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় যশোর বোর্ডের অধীন ৫টি কলেজ থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী পাশ করেছে। অন্যদিকে ২০টি কলেজ থেকে কোনো শিক্ষার্থীই পাশ করতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় যশোর শিক্ষাবোর্ড মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আসমা বেগম।
যশোর শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানায়, শতভাগ ফেল করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিএন কলেজ, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার মডেল কলেজ, খুলনা সদরের হোম ইকোনোমিক্স কলেজ, পাইকগাছার কপিলমুনি সহচারী বিদ্যা মন্দির, তেরখাদা উপজেলার আদর্শ শিক্ষা নিকেতন স্কুল এন্ড কলেজ, মাগুরা সদর উপজেলার বুজরুক শ্রীকুন্ডি কলেজ, রাওতারা এইচএন সেকেন্ডারি স্কুল এন্ড কলেজ, মোহাম্মদপুর উপজেলার কানাইনগর টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস কলেজ, বিরেন সিকদার আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার সিংজোর গোপালপুর কলেজ, সাতক্ষীরা সদরের ইসলামীয়া মহিলা কলেজ, আখড়াখোলা আদর্শ কলেজ, সাতক্ষীরা কমার্স কলেজ, যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া হাজিরবাগ আইডিয়াল গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, চৌগাছা উপজেলার মারুয়া ইউসুফ খান স্কুল এন্ড কলেজ, অভয়নগর উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়ন কলেজ, কেশবপুর উপজেলার বুরুলী স্কুল এন্ড কলেজ, কুষ্টিয়া সদরের আলহাজ্ব আব্দুল গণি কলেজ, ঝিনাইদহ সদরের মুনুরিয়া স্কুল এন্ড কলেজ এবং নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মাকরাইল করিম খালেক সোলায়মান ইন্সটিটিউট।
এর মধ্যে বিএন কলেজ থেকে ১১জন, মডেল কলেজ খুলনা থেকে একজন, খুলনা হোম ইকোনোমিক্স কলেজ থেকে একজন, কপিলমুনি সহচারী বিদ্যা মন্দির থেকে ৫ জন, তেরখাদা আদর্শ শিক্ষা নিকেতন স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৮ জন, মাগুরার বুজরুক শ্রীকুণ্ডি কলেজ থেকে ৮ জন, রাওতারা এইচএন সেকেন্ডারি স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৪ জন, মোহাম্মদপুর কানাইনগর টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস কলেজ থেকে ৯ জন, মোহাম্মদপুর বিরেন সিকদার আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ১১ জন, বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ সিংজোর গোপালপুর কলেজ থেকে ১৮ জন, সাতক্ষীরা ইসলামীয়া মহিলা কলেজ থেকে ৯ জন, আখড়াখোলা আদর্শ কলেজ থেকে ৯ জন, সাতক্ষীরা কমার্স কলেজ থেকে ২ জন, যশোরের বাঁকড়া হাজিরবাগ আইডিয়াল গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৭জন, চৌগাছা মারুয়া ইউসুফ খান স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ২৬ জন, অভয়নগর শ্রীধরপুর ইউনিয়ন কলেজ থেকে ৭ জন, কেশবপুর বুরুলি স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ১০ জন, কুষ্টিয়ার আলহাজ আব্দুল গণি কলেজ থেকে ৪ জন, ঝিনাইদহের মুনুরিয়া স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ১৫ জন, নড়াইলের লোহাগড়া মাকরাইল করিম খালেক সুলাইমান ইন্সটিটিউট থেকে ৩৫ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এসব পরীক্ষার্থীদের সবাই অকৃতকার্য হয়েছে।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আব্দুল মতিন বলেন, জুলাই আন্দোলনে রাজপথে থাকায় শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতিতে কিছু ঘাটতি ছিল। তাছাড়া এবার অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে বের হয়ে নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে এবং পরীক্ষার্থীদের খাতার যথার্থ মূল্যায়ন হয়েছে। সে কারণে পাশের হার কমেছে বলে তিনি মনে করেন।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, যেসব কলেজ থেকে কোনো শিক্ষার্থীই পাশ করতে পারেনি, সেসব কলেজের বিষয়ে তদন্ত কমিটি করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ