নোয়াখালীর সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়ন থেকে মো. মাহফুজ (২৫) নামে এক রাজমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের অভিযোগ— বন্ধুর স্ত্রীকে পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার কাজির চর গ্রামের ছায়েদুল হকের বাড়ির রান্নাঘরের পেছনে একটি পেয়ারা গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত মাহফুজ ওই বাড়িরই ছেলে।
পরিবার জানায়, মাহফুজের দীর্ঘদিনের বন্ধু ছিলেন একই এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে সোহাগ ও সবুজ। প্রায় তিন বছর আগে সোহাগ বিদেশ যাওয়ার সময় স্ত্রী ও পরিবারের খোঁজ নেওয়ার দায়িত্ব বন্ধু মাহফুজকে দেন। এরপর থেকেই সোহাগের স্ত্রী আছমা আক্তারের সঙ্গে তার যোগাযোগ বাড়ে। স্বামী বিদেশে থাকার সময় আছমা টিকটক ভিডিও করতে শুরু করলে বিষয়টি নিয়ে পারিবারিক কলহ দেখা দেয়।
পরিবারের দাবি, আছমা নিয়মিত মাহফুজকে টিকটক ভিডিও পাঠাতেন এবং অনৈতিক প্রস্তাব দিতেন। এ বিষয়ে মাহফুজ আপত্তি জানালে বিষয়টি দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধে রূপ নেয়। ঘটনার আগের দিন মাহফুজের বাবা প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে আছমাকে এসব কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেন। এরপর আছমা, তার ভগ্নিপতি শাহীন ও ভাই সবুজ মাহফুজকে হত্যার হুমকি দেন।
নিহতের চাচা আকবর হোসেন শিপন জানান, শুক্রবার রাতে বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে রান্নাঘরের পিছনে পেয়ারা গাছে বাঁধা অবস্থায় মাহফুজকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
মাহফুজের বাবা ছায়েদুল হক অভিযোগ করেন, “আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে। আমরা সঠিক তদন্ত ও বিচার চাই।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে প্রবাসী সোহাগের স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোনে সংযোগ মেলেনি।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম জানান, “প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যা মনে হচ্ছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।”
বিডি প্রতিদিন/হিমেল