বিশ্ব হাতি দিবস গেল গতকাল কিন্তু সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে (মিয়ানমার অংশে) স্থলমাইন বিস্ফোরণে এক বন্যহাতির ডান পায়ের গোড়ালি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আহত হাতিটি পায়ের তীব্র যন্ত্রণা নিয়ে বাংলাদেশ-শহরে ঢুকে পড়ে এবং স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি বন বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যান।
নাইক্ষ্যংছড়ি বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানান, সাফারি পার্কের পশুচিকিৎসক ডা. জুলকার নাইনকে মেডিকেল টিমসহ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। ডা. জুলকার আহত হাতিটিকে প্রয়োজনীয় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন। তিনি জানান, “হাতিটির অবস্থা মারাত্মক, তবে চিকিৎসার মাধ্যমে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। ক্ষতস্থান থেকে সংক্রমণ ছড়ানো রোধে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হয়েছে; পুরো আরোগ্যে বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে।”
চিকিৎসক দল এসে আহত হাতিটিকে প্রথমে চেরার মাঠ এলাকা থেকে খুঁজে পায়; পরে হামিদিয়া পাড়া এলাকার নদীপাড়ে তাকে পাওয়া যায় এবং সেখানেই চিকিৎসা চলছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সীমান্তে নো-ম্যান্স ল্যান্ড ও জিরো লাইন বরাবর স্থলমাইন বসিয়ে রাখার ঘটনা একইভাবে মানুষের ওপরও প্রভাব ফেলে—সাম্প্রতিক সময়ে এই স্থলমাইন বিস্ফোরণে বহু নারী ও পুরুষও আহত হয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/আশিক