খাগড়াছড়িতে গত দুই দিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছিল। তবে, বর্তমানে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। ফলে চেঙ্গি ও মাইনি নদীর পানি বেড়ে গিয়ে নিম্নাঞ্চলের গ্রামগুলোতে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছে বাসিন্দারা।
বুধবার খাগড়াছড়ি শহরের মুসলিমপাড়া, গঞ্জ পাড়া, কালাডেবাসহ বেশ কয়েকটি একটি এলাকা পানিতে ডুবে যায়। এছাড়া, খাগড়াছড়ি বাজারের সবজি বাজার কেন্দ্রীয় শাহী মসজিদের পেছনের সড়কটিও পানিতে ডুবে যায়। একইভাবে গরু বাজারও পানিতে ডুবে যায়। তবে, এখনো পর্যন্ত পাহাড়ধসের বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এ পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড়ের পাদদেশে নদী তীরবর্তী এলাকার পরিবারগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার জানান, আশ্রয়কেন্দ্রগুলো খোলা রয়েছে। যে কেউ এখানে আশ্রয় নিতে পারবে। আশ্রয় নেওয়া পরিবারগুলোকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাবার দেওয়া হবে। গত বছরেও খাগড়াছড়ি চার দফা বন্যায় ডুবেছিল।
এদিকে, বন্যার জন্য নদী দখল ও দূষণকে দায়ী করছেন এলাকাবাসী।
বিডি প্রতিদিন/কেএ