‘সচেতন, সংগঠিত ও সোচ্চার জনগোষ্ঠীই গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ’—এই স্লোগানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‘রাষ্ট্র সংস্কারে জাতীয় ঐকমত্য ও নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকেল ৩টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জেলা সুজন (সুশাসনের জন্য নাগরিক) এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।
বৈঠকে শিক্ষক, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্য, গণমাধ্যমকর্মী এবং শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। রাষ্ট্র সংস্কার বিষয়ে আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুজন-এর কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলিপ সরকার। তিনি সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবনা ও বিদ্যমান ব্যবস্থার চিত্র তুলে ধরেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা সুজনের সভাপতি কবি আব্দুল মান্নান সরকার এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এ. কে. এম. শিবলী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম খান সাদত বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পর বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের প্রয়োজনীয়তা সামনে আসছে। তিনি বলেন, প্রতিটি সংসদীয় আসনে প্রার্থীকে কমপক্ষে মোট ভোটের ৫১ শতাংশ পেতে হবে—এমন বিধান চালুর কথা বিবেচনায় নেয়া উচিত।
অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা আবদুস সালাম বলেন, ফেরারি আসামিদের প্রার্থিতা বাতিল না করে বরং আদালতে প্রমাণিত দোষীদের প্রার্থিতা বাতিল করা উচিত। তিনি বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ ‘কালো আইন’ বাতিলের আহ্বান জানান।
সাংবাদিক শাহাদৎ হোসেন বলেন, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সিআর মামলা গ্রহণের ক্ষমতা সীমিত করা উচিত। পাশাপাশি, উপজেলা পর্যায়ে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত স্থাপন এবং জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে মেয়র নির্বাচনের প্রস্তাব দেন তিনি।
শিক্ষার্থী ফাহিম মুনতাসির বলেন, আলোচনা সভায় শিক্ষা খাতের সংস্কার নিয়ে কিছু বলা হয়নি। তিনি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবি জানান।
বিডি প্রতিদিন/আশিক