সিনেমা নিয়ে বহু চিন্তাভাবনা করতেন কলকাতার প্রয়াত চলচ্চিত্র পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ। যাঁর পরিচালনায় এমন চমক বারবার উঠে এসেছে, যেখানে মানুষ চরিত্রকে জীবন্ত হতে দেখেছে। বরাবরই যে কোনো ছবির আগে অনেকটা সময় সেই ছবির বিষয়বস্তু নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা, যাকে বলে দিনযাপন করতেন তিনি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্পের ‘চোখের বালি’ চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি। বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়াকেই তিনি কাস্ট করেন এই গল্পের বিনোদিনী চরিত্রে। একে বাঙালির মনপছন্দ উপন্যাস, তার ওপর বিনোদিনীর মতো চরিত্র। একে একে লুক টেস্ট শুরু হয়। রাজলক্ষ্মীর ভূমিকায় দেখা যায় সন্ধ্যা রায়কে। শুচিতা রায় চৌধুরী অন্নপূর্ণার চরিত্রে এবং বিনোদিনী রূপে নন্দিতা দাশকে প্রথম চিন্তা করলেও শেষ পর্যন্ত ঐশ্বরিয়াকেই এই চরিত্রে নির্বাচন করেন নির্মাতা ঋতুপর্ণ। বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে এটাই ছিল ঐশ্বরিয়ার প্রথম কাজ।
বলাবাহুল্য, একেবারে অন্যরকম রূপে তাঁকে পেয়েছিল দর্শক। এ নিয়ে ঐশ্বরিয়া বলেছিলেন, রবীন্দ্রসাহিত্য ‘চোখের বালি’র মতো উপন্যাসে অভিনয় করা এবং একই সঙ্গে পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা সব সময়ই খানিকটা অন্যরকম। উপন্যাসটিকে যেভাবে ছবির আঙ্গিকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছিলেন তিনি, তা সত্যিই অনবদ্য। প্রত্যেক অভিনেতা-অভিনেত্রীর লুক এমনভাবে ফুটে উঠেছিল, যা সিনেমাটিকে অন্য একটি মাত্রা দিয়েছিল। এমন একটি ছবিতে অভিনয় করতে পেরে সত্যি আমি গর্বিত।