বরিশাল নগরীতে চলাচল করা পাবলিক পরিবহন হলুদ ও নীল রঙের অটো এবং সিএনজির বিভিন্ন রুটের যাত্রী ভাড়া নির্ধারণের একটি নোটিশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল বারী স্বাক্ষরিত নোটিশটি সামাজিক মাধ্যমে নেটিজেনদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। কিন্তু প্রচারিত ওই নোটিশটি ভুয়া।
এ বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল বারী বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার হওয়া নোটিশটি ভুয়া। কারা এ ধরনের ভুয়া নোটিশ ছড়িয়েছে তা খুঁজে বের করতে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষরে ৫৪২ নম্বর স্মারকের এই বিজ্ঞপ্তিতে শহরের অভ্যন্তরীণ ১৯টি রুটের ভাড়া উল্লেখ করা হয়। নির্দেশনা না মানলে এতে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়।
ছড়িয়ে পড়া নোটিশে দেখা যায়, জেলখানা থেকে লঞ্চঘাট ভাড়া ৫ টাকা, লঞ্চঘাট থেকে বেলস পার্ক ৫ টাকা, লঞ্চঘাট থেকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ৫ টাকা, লঞ্চঘাট থেকে রূপাতলী ১০ টাকা, রূপাতলী থেকে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল ১০ টাকা। এভাবে ১৯টি রুটের ভাড়া উল্লেখ করা হয়েছে।
বরিশাল নগরীতে পাবলিক পরিবহন হিসেবে হলুদ ও নীল রঙের অটো ও সিএনজি চলাচল করে। এসব যানবাহনে বর্তমানে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। বিভিন্ন অজুহাতে চালকদের বাড়তি ভাড়া আদায় নিয়ে যাত্রীদের সাথে প্রতিদিনই তর্ক-বিতর্ক হচ্ছে। কিন্তু সঠিক ভাড়া নির্ধারণ নিয়ে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের কোনো উদ্যোগ নেই। এ নিয়ে নগরবাসীর মধ্যে ক্ষোভও রয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল