জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম হোসেনকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি করে দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনায় বিদেশী পিস্তল ও ৬ রাউন্ড গুলিসহ একজনকে আটক করেছে জনতা। আরও ৫ জন পালিয়ে গেছে। এ ঘটনা সোমবার রাত ১০টার দিকে পাঁচবিবি শহরের পৌর সুপার মার্কেটের সামনে ঘটেছে। ঘটনার পর শহরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাতেই পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
শামীমকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া আটককৃত ব্যক্তির নাম কোয়েল মোল্লা (২৮)। সে ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার কুষ্টপুর গ্রামের শাহাদত মোল্লার ছেলে। জনতার মারপিটে আহত হয়ে কিলার বর্তমানে পুলিশ পাহারায় জয়পুরহাট ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীণ অবস্থায় আছেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মইনুল ইসলাম।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সাথে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার ছিল পহেলা বৈশাখ। সারাদিন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাত ১০টার দিকে পাঁচবিবি পৌরশহরের সুপার মার্কেটের একটি দোকানের সামনে সাবেক জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম হোসেন, পৌর যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি হারুনুর রশিদ সজল ও বায়োজীদসহ বেশকয়েকজন মিলে গল্প করছিলেন। এসময় দুটি মোটরসাইকেল যোগে ছয়জন অপরিচিত লোক এসে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ফিল্মি স্টাইলে শামীমকে উদ্দেশ্যে করে কয়েক রাউন্ড গুঁলি ছোঁড়ে সেখান থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। এরইমধ্যে স্থানীয় জনগণ ও শামীমের সাথে থাকা অন্যরা তাদের ধাওয়া করে কোয়েল নামে একজনকে আটক করে। সাথে থাকা অন্যরা তখন পালিয়ে যায়। উত্তেজিত জনতা কোয়েলকে গণধোলাই দিলে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। পরে তাকে পুলিশ পাহারায় জয়পুরহাট ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান।
পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মইনুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে জনতার হাতে আটক একজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। আটক ওই ব্যক্তির নিকট থেকে একটি রিভালবার, ম্যাগাজিন ও গুলি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং অন্যদের গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
বিডি প্রতিদিন/এএম