দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গমনে অন্যতম প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট। দৌলতদিয়া প্রান্তে ফেরিঘাটসংকটে গতকাল যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়। ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা আর ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রী ও চালকদের।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া কার্যালয়সহ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দৌলতদিয়া প্রান্তের সাতটি ফেরিঘাটের মধ্যে ১, ২, ৫ ও ৬ নম্বর ঘাট দীর্ঘদিন বন্ধ এবং ৩, ৪ ও ৭ নম্বর ঘাট ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। গত মাস থেকে অদৃশ্য কারণ্যে দৌলতদিয়া প্রান্তের ব্যস্ততম ৭ নম্বর ঘাট বন্ধ। শুধু ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। রবিবার রাত থেকে ৩ নম্বর ফেরিঘাটের সংস্কার চলছে। শুধু ৪ নম্বর ঘাট দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার হচ্ছে। এতে ভোগান্তি হচ্ছে যাত্রী ও চালকদের।
গতকাল বিকালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ভোগান্তির চিত্র দেখা গেছে। জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ক্যানালঘাট পর্যন্ত ২ কিলোমিটার যানবাহনের সারি তৈরি হয়েছে।
কয়েকজন ট্রাকচালক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের দিকে কারও নজর নেই। আগের মতোই ভোগান্তি। একটি মাত্র ফেরিঘাট দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার হচ্ছে। অপচনশীল দ্রব্যের ট্রাকগুলোকে ৩ থেকে ৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘাটগুলো সচল করার দাবি তাঁদের। দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, ‘দুটি ঘাটের মধ্যে একটি চালু থাকায় সিরিয়াল তৈরি হয়েছে। আশা করছি দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে। বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ছোটবড় ১০টি ফেরি চলাচল করছে। যাত্রীদের ভোগান্তি দূর করতে যাত্রীবাহী যানবাহন ও পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে।’