চলতি বছর জুলাই-আগস্টের অতিবৃষ্টিতে চুয়াডাঙ্গা জেলার কৃষক ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। জেলার নিচু এলাকার গ্রামগুলোতে বিভিন্ন ধরনের সবজি, আউশ ও আমন ধান, পাট, মরিচ, কলা, ড্রাগন এবং মাল্টা বাগান ক্ষতির মুখে পড়েছে। সরকারি হিসাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫৫ লাখ টাকা। তবে কৃষকদের মতে, জেলায় ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকার ওপরে। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের প্রণোদনা দেওয়ার দাবি কৃষকদের।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে অতিবৃষ্টিতে জেলায় ৮৭২ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে কৃষকের ক্ষতি হয়েছে ৫৪ লাখ ৮৪ হাজার ১৮৮ টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের মধ্যে আছে ৪২ হেক্টর জমির আমন ধানের বীজতলা, ৯৮ হেক্টর জমির আমন আবাদ, ১৩২ হেক্টর জমির আউশ ধান, ১১০ হেক্টর জমির মরিচ, ৩১২ হেক্টর জমির বিভিন্ন ধরনের সবজি, ৫৭ হেক্টর জমির কলা, ৩৭ হেক্টর জমির পেঁপে, ১৩ হেক্টর জমির চীনাবাদাম, ২০ হেক্টর জমির পেয়ারা, ২১ হেক্টর জমির মাল্টা ও ৩০ হেক্টর জমির ড্রাগন।
সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের কৃষক রতন আলী বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে তারা ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছে না। লাউ, শসা ও ধনেপাতার খেত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টিতে শীম, চিচিঙা, লাউসহ বিভিন্ন মাচা ফসলের ফুল নষ্ট হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার বলেন, ক্ষয়ক্ষতি ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকাও করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকারিভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।