ঈদুল আজহা সামনে রেখে মেহেরপুরের বামন্দী-নিশিপুর হাটে জমে উঠেছে কোরবানির পশু বেচাকেনা। হাটজুড়ে ছোট, বড় ও মাঝারি গরুর সমাহার। ব্যস্ত ক্রেতা-বিক্রেতারা। রাজধানী ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গরুর বেপারিরা এ হাটে এসেছেন। ক্রেতারাও নানাভাবে যাচাই-বাছাইয়ের পর কিনছেন পছন্দের গরু, ছাগল। মেহেরপুরের গাংনীর বামন্দী-নিশিপুর হাট অন্যতম বৃহৎ পশুর হাট হিসেবে পরিচিত। সপ্তাহে তিন দিন (শুক্র, সোম ও মঙ্গলবার) এখানে হাট বসে। কোরবানির সময় যত এগিয়ে আসছে ততই গরু ছাগল, ভেড়া ও মহিষের বেচাকেনা বাড়ছে। গত শুক্রবার হাট চত্বর ও আশপাশের সড়কে গরুবাহী ট্রাকের সারি, বেপারিদের হাঁকডাক এবং ক্রেতা-বিক্রেতার দরকষাকষিতে হাটে তৈরি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ।
বিক্রেতা আনোয়ারুল ইসলাম জানান, মাঝারি গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। গরুর তুলনায় ছাগল খুঁজছেন বেশির ভাগ মানুষ। কারণ অনেকেই এককভাবে ছাগল কোরবানি দেন।আরেক বিক্রেতা বেলালা জানান, এবার গরুর দাম তুলনামূলক ভালো। ভারত থেকে গরু না এলে ভালো দাম পাওয়া যাবে। ক্রেতা আফহাল হক বলেন, আশপাশের ১০ জেলার মধ্যে বামন্দী-নিশিপুরের হাট সবচেয়ে বড়। পাবনা জেলা থেকে গরু নিতে এসেছি। প্রতি হাটেই এখান থেকে গরু কিনে নিই। জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, মেহেরপুরে ২৬ হাজার ৪৭টি খামারে মোট ১ লাখ ৭১ হাজার ৭৫৩টি কোরবানির উপযোগী পশু প্রস্তুত রয়েছে। জেলায় ৯০ হাজার ১৯৩টি পশু স্থানীয়ভাবে কোরবানি দেওয়া হবে ধারণা করা হচ্ছে।