বাঙালির আন্দোলন-সংগ্রাম, প্রকৃতি প্রেম, অধিকার আদায় ও শ্রেণি বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে রবীন্দ্র-নজরুল-সুকান্ত অগ্রগামী। এ তিনজন মনীষী কবি সাহিত্যিকের অবদান প্রশংসার দাবিদার। বিশেষ করে বাঙালির সবচেয়ে বড় অর্জন রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় অর্জনে এই তিন কবি সাহিত্যিকের সৃজন কর্ম গোটা জাতিকে উজ্জীবিত করেছে।
কথামালা, নাচ ও গানসহ নানা আয়োজনে এই তিন কবিকে স্মরণ করেছে বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদ। গতকাল সন্ধ্যায় ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনের মূল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় ‘রবীন্দ্র-নজরুল-সুকান্ত স্মরণ’ শীর্ষক এ আয়োজন। এতে প্রধান আলোচক ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাস্টি মফিদুল হক। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সংগীতশিল্পী কাজী মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তৃতা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট। একক গণসংগীত পরিবেশন করেন ফকির সিরাজ। বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদভুক্ত দলসমূহের মধ্যে দলীয়সংগীত পরিবেশন করে-ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী, সত্যেনসেন শিল্পী গোষ্ঠী, ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী, মিরপুর সাংস্কৃতিক একাডেমি, স্ব-ভূমি লেখক শিল্পী কেন্দ্র, সুরবাণী, পঞ্চভাস্কর, সুরতাল সংগীত একাডেমিসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন। গানের সঙ্গে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন। একক আবৃত্তি করেন টিটো মুনশী ও নায়লা তারাননুম চৌধুরী কাকলি। আমন্ত্রিত শিল্পী হিসেবে সংগীত পরিবেশন করেন সালাহউদ্দিন আহমেদ।