ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসির পরিচালক ও চেয়ারম্যান নির্বাচনে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কোম্পানির পাঁচজন পরিচালক বিষয়টি নিয়ে পরিচালনা পর্ষদ ও বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) হস্তক্ষেপ চেয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে লিখিত নোট অব ডিসেন্ট অ্যান্ড অবজেকশন জমা দিয়েছেন। কোম্পানির ২৮ জুলাই অনুষ্ঠিত ২৮৩তম পর্ষদ সভা এবং ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ৪০তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) পরিচালক নিয়োগ ও চেয়ারম্যান নির্বাচনের বিভিন্ন সিদ্ধান্তকে তারা প্রশ্নবিদ্ধ বলে উল্লেখ করেছেন।
জানা গেছে, ২৮৩তম পর্ষদ সভায় তিনজন নতুন পরিচালক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে তোফাজ্জল হোসেনকে ‘ক্যাজুয়াল ভ্যাকান্সি’ পূরণের নামে পরিচালনা পর্ষদে অন্তর্ভুক্ত করা হলেও তিনি কার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন সেটা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। এ ছাড়া, তিনি প্রায় পাঁচ বছর কোম্পানির পর্ষদের কার্যক্রম থেকে অনুপস্থিত ছিলেন।
৩০ সেপ্টেম্বরের এজিএমে পরিচালক নির্বাচনে প্রস্তাব ও সমর্থনের আনুষ্ঠানিক রেকর্ড রাখা হয়নি। ইনস্যুরেন্স কোম্পানিজ ডিরেক্টরসইলেকশন রুলস-২০২৪ অনুযায়ী স্পন্সর পরিচালক নির্বাচিত হতে হলে অন্তত এক বছর আগে কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু তোফাজ্জল হোসেন এই শর্ত পূরণ করেননি বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে।
এ ছাড়া উত্তরা মোটর কর্পোরেশন লিমিটেডের প্রতিনিধি হিসেবে পরিচালক হাসান তারেকের নাম প্রস্তাব করা হলেও তা ইচ্ছাকৃতভাবে অনুমোদন না দিয়ে কার্যবিবরণীতে কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে তোফাজ্জল হোসেনকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ধরেননি। এসএমএস পাঠালেও উত্তর দেননি।