মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসি হওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ‘রাজনৈতিক আক্রোশের শিকার’ বলে অভিযোগ করেছেন তার ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘হাসিনার মূল লক্ষ্য ছিল তার রাজনৈতিক বিরোধীদের সরিয়ে দেওয়া। গুম, খুন ও হত্যার মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকাই ছিল তার উদ্দেশ্য। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীও সেই রাজনৈতিক আক্রোশের শিকার। আসলে বাবার রায় ট্রাইব্যুনালে নয়, আইন মন্ত্রণালয়ে লেখা হয়েছিল।’ গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনার লক্ষ্য ছিল সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর লিগ্যাসি ধ্বংস করা এমন মন্তব্য করে হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেন, ‘সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে শেখ হাসিনা চাইলে একটা গুলি দিয়েই হত্যা করতে পারতেন। কিন্তু তার লক্ষ্য সেটা ছিল না। তার লক্ষ্য ছিল, বাবার যে লিগ্যাসি আছে, তার যে রাজনীতি আছে সেটি ধ্বংস করে দেওয়া। আমার বাবা যেহেতু একজন ন্যাশনালিস্ট হিসেবে পরিচিত ছিলেন, তার এই চিন্তাধারাকেই সে ধ্বংস করতে চেয়েছিল।’
যুদ্ধাপরাধের মামলার কার্যক্রম প্রসঙ্গে হুম্মাম বলেন, ২০টি অভিযোগের মধ্যে মাত্র চারটিতে সাক্ষ্য হাজির করা সম্ভব হয়েছিল। বাবার বিচার প্রক্রিয়ায় কোনো স্বচ্ছতা ছিল না। এটি ছিল একটি ‘জুডিশিয়াল মার্ডার’, যেখানে আওয়ামী লীগ সরাসরি জড়িত।
হুম্মাম জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গোপন বার্তার মাধ্যমে সাকা চৌধুরীর পক্ষে বিদেশি চারজন সাক্ষীকে দেশে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, মুনীব আরজমন্দ খান, অ্যাম্বার হারুন সাইগল, ইসহাক খান খাকওয়ানি এবং রিয়াজ আহমেদ নূন-এই চারজন ১৯৭১ সালে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের বাবার সহপাঠী ছিলেন। তারা প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ছিলেন। যদি তাদের বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হতো এবং তারা সাক্ষ্য দিতে পারতেন, তাহলে তারা বাবাকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারতেন।
এ বিষয়ে আগামী রবিবার পরিবারের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লিগ্যাল নোটিস পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।